১৪ অগাস্ট মধ্য রাতে শহরে নামছেন মহিলারা। তৃণমূলের অভিযোগ, এই জমায়েতের পিছনে রয়েছে বিজেপি আর বামেরা। তারই পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ অগাস্ট থেকে সারা বাংলায় মিছিল-আন্দোলন হবে বলে জানালেন। দিন ধরে কর্মসূচিও ঠিক করে দিলেন।
মমতা এ দিন বলেন,'১৭ তারিখ থেকে সারা বাংলায়, সব ব্লক, সব ওয়ার্ডে ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত বাম-রামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিছিল এবং আন্দোলন হবে। ১৮ তারিখ ধর্না হবে ব্লকে ব্লকে। ১৯ তারিখে রাখি। ২০ তারিখে আবার পথে নামব আমরা। সে দিনের কর্মসূচি পরে জানিয়ে দেব'।
বাম জমানার কথাও মনে করিয়ে দেন মমতা। বলেন,'মনে পড়ে বানতলায় ড অনিতা দেওয়ানের কথা? বামফ্রন্ট সরকার ছিল। ভুলে গেছেন? অনেকেই এখন জানেন না। আমার মনে আছে কারণ আমি সেখানে গিয়ে একটা গাছের চারা লাগিয়ে এসেছিলাম। যারা ফেসবুক টুইটারে সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে ভুলে গিয়েছেন, নিজেকে আয়নায় দেখুন। আমি ঘটনাটা জানি, ১৯ জন আনন্দ মার্গীকে কারা পুড়িয়ে মেরেছিল, কারা? সেই সিপিএম দল। নন্দীগ্রামে গুলি করে হত্যা, ১০ জনকে বাঁশে বেঁধে জলে ফেলা, সিঙ্গুরে তাপসী মালিককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল'।
ধনঞ্জয়-কাণ্ডের প্রসঙ্গও তোলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর কথায়,'আমি যদি বিনা প্রমাণে ধরি, তাহলে কীভাবে হবে। ধনঞ্জয়ে দেখছেন, যে সাক্ষী দিয়ছিল, সে এখন বলছে আমি পাপ বোধ করছি। তখন তাতে বাম সরকার সাপোর্ট করেছিল। আমার বলতে খারাপ লাগছে, তখন বুদ্ধদেববাবুর আমল। সেই সময় অনেক ঘটনা ঘটেছিল। যে সাক্ষী দিয়েছিল, সে এখন বলছে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল, তাই আমি ভুল সাক্ষী দিয়েছিলাম'।
তাঁর সংযোজন,'আপনি একটা দোষী লোককে ফাঁসী দিন, আপত্তি নেই। একটা, হাজারটা দোষী লোককে আপনি ধরুন আমাদের আপত্তি নেই। আমরা হাইকোর্টের রায় মেনে চলব, আমাদের কোনও লেনাদেনা নেই, এই পাশবিক হত্যায় দোষী ব্যক্তিকে নিশ্চই যেন ফাঁসী দেওয়া হয়। আমি রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই সিবিআইকে দেওয়া হল'।