সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। সেই বিরোধীদের কাঠগড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও। শনিবার জোড়া পদক্ষেপ করে মুখরক্ষার চেষ্টা শুরু করল রাজ্য। সরানো হল রাজ্য পুলিশের এডিজি-কে (দক্ষিণবঙ্গ)। সেই সঙ্গে বদলি করা হল বারাসতের ডিআইজি-কে। সন্দেশখালি ছিল দুই পুলিশকর্তার নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এর পাশাপাশি উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরার বিরুদ্ধে মামলা গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ।
গত ৩১ জানুয়ারি এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সিদ্ধনাথ গুপ্তকে বদলি করা হয়েছিল। সন্দেশখালিতে ঝামেলা শুরু হওয়ার পর তাঁকে পাঠানো হয়। সেই পদ থেকে সরলেন সিদ্ধনাথ। আনা হল সুপ্রতিম সরকারকে। তিনি ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (ট্র্যাফিক ও পথ নিরাপত্তা ) পদে। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইআটিতে দুই স্কুল পড়ুয়া খুনের ঘটনার পর বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পদ থেকে সরানো হয়েছিল সুপ্রতিমকে।
এদিকে, বারাসতের ডিআইজি সুমিত কুমারকে সরানো হল। তাঁর জায়গায় এলেন ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। সুমিতে পাঠানো হল ডিআইজি নিরাপত্তা পদে। গত ৩১ জানুয়ারি ভাস্করকে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার পদ থেকে সরানো হয়েছিল। মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি পদে তাঁকে স্থানান্তরিত করেছিল সরকার।
হঠাৎ করে কেন গণধর্ষণের ধারা যুক্ত হল? রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলা গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে উত্তম ও শিবুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারায় মামলা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অধরা শিবু। তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, শনিবার উত্তমকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। তাকে ১০ দিনের হেফাজতে চায় পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান দাবি করেছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মহিলাদের উপর নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।