গরমের ছুটি শেষ হয়েছে সবে ২ দিন হল। তার মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। ক্রমবর্ধমান গরমের কারণে চাইলে সূচি বদলে দিতে পারে স্কুলগুলো। এমনটাই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। এমন পরামর্শের কারণ তাপপ্রবাহ।
গত ১০ জুন স্কুল খুলেছে। তবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। পশ্চিমের জেলা যেমন বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার কোনও কোনও এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করেছে। দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া অনুকূল নয়। ফলে স্কুল খুললেও এখনও পড়ুয়ারা সবাই যেতে পারছে এমনটা নয়। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সব স্কুলে ইতিমধ্যেই সেই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
স্কুলগুলোকে রাজ্য সরকারে পরামর্শ, সরকার পরিচালিত, সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার অনুমোদিত উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিকে ক্লাস নেওয়ার সময় বদলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে স্কুলগুলো। তবে কোনওভাবেই যাতে পঠন পাঠনের সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। মিড ডে মিল পরিষেবা সচল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলোতে।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। কিছুদিন আগে দিল্লিতে তাপমাত্রা স্পর্শ করে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৪৯.৯ ডিগ্রি)। গত ১০০ বছরে যা রেকর্ড। গরমে কাহিল হয়ে পড়েছিল বিহারও। সেই সময় বেগুসরাই এবং শেখপুরায় স্কুলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারায় ৪৮ ছাত্রী। তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়েছিল। সেই থেকে দেশের একাধিক স্কুলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি হলেও নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বভাস থাকলেও তাতে গরম কমছে না। এর জেরে সমস্য়ায় শিশুরা। তাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা।