scorecardresearch
 

Sandeshkhali Case: সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে ৩ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ, জেরায় ডেকে গ্রেফতার

বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করেছে সিবিআই। তাদের মধ্যে একজন হলেন জিয়াউদ্দিন মোল্লা, যিনি স্থানীয় টিএমসি পঞ্চায়েত প্রধান এবং শাজাহানের খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হামলার সময় তাকে ভিড়ের মধ্যে দেখা গেছে। আগামীকাল তাদের আদালতে পেশ করা হবে।

Advertisement
সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে ৩ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ, জেরায় ডেকে গ্রেফতার সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে ৩ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ, জেরায় ডেকে গ্রেফতার

Sandeshkhali Case: দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শেখ শাহজাহানের তিন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত এরা। বস্তুত, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় এটাই সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতারি। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন শাহজাহান শেখ-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা জিয়াউদ্দিন মোল্লা, দিদারবক্স মোল্লা এবং ফারুক আকুঞ্জি নামে শাহজাহানের আরও দুই শাগরেদকে। জিয়াউদ্দিন মোল্লা সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

ইডি আধিকারিক এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই তলব করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে, সিবিআই ইডি-তে হামলার সময় তাদের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে। বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করেছে সিবিআই। তাদের মধ্যে একজন হলেন জিয়াউদ্দিন মোল্লা, যিনি স্থানীয় টিএমসি পঞ্চায়েত প্রধান এবং শাজাহানের খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হামলার সময় তাকে ভিড়ের মধ্যে দেখা গেছে। আগামীকাল তাদের আদালতে পেশ করা হবে।

গত ৫ জানুয়ারি রেশন মামলার তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু ইডির আধিকারিকদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই দিনের ঘটনায় জিয়াউদ্দিন-সহ আরও কয়েক জন নেতা সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। সোমবার নোটিশ দিয়ে জিয়াসুদ্দিন, দিদারবক্স এবং ফারুককে ডেকে পাঠানো হয় কলকাতার নিজ়াম প্যালেসে। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ জেরাপর্বে একাধিক তথ্য তিনজনই এড়িয়ে যান বলে খবর। আর এরপরেই জিয়াসুদ্দিন মোল্লা, দিদারবক্স মোল্লা এবং ফারুক আকুঞ্জিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদের ঘটনাস্থলে থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।

রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গেছিল ইডি। সেখানে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীক্ষেত্রে সন্দেশখালির ঘটনা কোন পর্যায়ে গেছে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ৫০ দিনের ওপর ফেরার থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হয় শাহজাহান। এই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবীর দাবি, তাঁকে অতিরিক্ত হলফনামা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। কারণ আগাম জামিনের আর্জির শুনানির আগেই শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছেন। 

Advertisement

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার সময়েই শাহজাহানের নাম উঠে এসেছিল। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ইডির আইনজীবী এই আর্জির বিরোধিতা করে বলেন, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। পিএমএলএ মামলায় তাঁকে কিন্তু এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। ওই মামলাতেই আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে। তাই অতিরিক্ত হলফনামার প্রশ্ন আসে না। 

 
 

Advertisement