তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান কোথায়? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে দুঁদে গোয়েন্দারা থেকে আম-জনতার মধ্যে। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এই তৃণমূল নেতার। তারপর থেকেই বেপেত্তা তিনি। কোথায় আছেন, কী করছেন কিছুই জানতে পারা যাচ্ছে না। তবে নিজে অলক্ষ্যে থেকেও আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান । সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান আদালতে গ্রেফতার না হওয়ার নিশ্চয়তা চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইডি যদি তাঁকে গ্রেফতার করা হবে না বলে নিশ্চয়তা দেয়, তা হলেই তিনি তাদের দফতরে হাজিরা দেবেন।
সোমবার আদালতে ছিল শেখ শাহজাহানের আগাম জামিন মামলা। তাঁর মক্কেলকে যেন আর নোটিস না পাঠায় ইডি, সেই আবেদনই এদিন জানিয়েছেন শাহজাহানের আইনজীবী। সোমবারও তলব করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে, আগের মতোই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমবল নেতা। শাহজাহানের আইনজীবী এদিন সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, আমার মক্কেলকে বারবার সমন পাঠানো হচ্ছে, যাতে এটা বোঝানো যায় যে আমরা সহযোগিতা করছি না। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থার সন্দেহ বিদেশে টাকা পাঠানো হয়েছে। তবে, ইডি কী বলতে চাইছে সেটাও স্পষ্ট নয়। এদিকে, ইডি-র আইনজীবী স্পষ্ট বলেন, শাহজাহান প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাঁর হাতে রেশন দুর্নীতির টাকা গিয়েছে বলা হচ্ছে, তিনি মন্ত্রী তথা প্রভাবশালীর ঘনিষ্ঠ। সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে ইডি। শাহজাহানের আগাম জামিনের বিরোধিতা করেন তারা।
শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। এই ঘটনার ৩৮ দিন পরেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এই প্রেক্ষাপটে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তবে এ দিনও, তাঁকে আগাম জামিন দিল না আদালত। সোমবার এই মামলায় তৃণমূল নেতার আইনজীবী বললেন, এক্ষুনি হাজিরা দেবেন শেখ শাহজাহান। ২ দিনের রক্ষাকবচ দিন। পাল্টা, ইডির (ED) আইনজীবী বললেন, 'কথা শুনে এটাই মনে হচ্ছে, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি।' প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল শাহজাহানের। এই নিয়ে তৃতীয় বার তিনি হাজিরা এড়ালেন। শাহজাহানকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আইনজীবী মারফত আদালতে নিজের বক্তব্য জানাচ্ছেন তিনি। এদিকে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি।