সাতদিনের মধ্যেই গ্রেফতার হবেন শেখ শাহজাহান। 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোমবার তিনি লেখেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সঠিক বলেছিলেন। আদালতের আইনি জটেই বিষয়টা আটকে ছিল। তার সুযোগে রাজনীতি করছিল বিরোধীরা। আজ হাইকোর্ট সেই জট খুলে পুলিশকে পদক্ষেপে অনুমোদন দেওয়ায় ধন্যবাদ। সাত দিনের মধ্যে শাহজাহান গ্রেপ্তার হবে।'
এদিকে এদিনই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারবে রাজ্য পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় শেখ শাহজাহানকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রয়োজনে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে। গ্রেফতারের ওপর কোনও অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এই নিয়ে কেউ দ্বিমত, সংশয় রাখবেন না, শেখ শাহজাহানকে তৃণমূল কংগ্রেস গার্ড করছে। শেখ শাহজাহানকে যদি কেউ গার্ড করে, তাহলে সেটা জুডিশিয়ারি বিভাগ। চাইলে আমার এই কথা রেকর্ডও রাখতে পারেন। যাতে রোজ সন্দেশখালি খবরের শিরোনামে থাকে, যাতে রোজ সন্দেশখালিতে আগুন জ্বলে, জুডিশিয়ারি স্টেট তুলে দিক, তাহলে যদি কেউ গ্রেফতার করতে না পারে, তাহলে সে এসে আমাকে বলুক। হাত পা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।'
পাশাপাশি ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। শাহজাহানের গ্রেফতার চেয়ে সরব তাঁরা। কিন্তু এখনও হদিস নেই শেখ শাহজাহানের। দাদা শেখ শাহজাহানের পর ভাই সিরাজের বিরুদ্ধেও সরব গ্রামবাসীরা। জমি দখল করে শুধু ভেড়ি নয়, আস্ত মার্কেটও সিরাজের নামে। তারইমধ্যে অভিষেক গতকাল জানান, আইনি বাধার জন্যই শেখ শাহজাহানকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তার একদিন পরই আদালত জানিয়ে দিল, কোনও আইনি বাধা নেই। পুলিশ গ্রেফতার করুক শাহজাহানকে। কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নেই। এবার কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, সাতদিনের মধ্যেই গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান।