scorecardresearch
 

Mamata Banerjee: 'গলার মটরমালার হারটা বিক্রি করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম,' বললেন মমতা

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের ছাত্রাবস্থার কথা স্মৃতিচারণ করেন মমতা।

Advertisement
ছবি: ফেসবুক ছবি: ফেসবুক
হাইলাইটস
  • সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • এই প্রকল্পের মাধ্যমে SC-ST পড়ুয়ারা বিনামূল্যে ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন।
  • রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের ছাত্রাবস্থার কথা স্মৃতিচারণ করেন মমতা। তিনি বলেন, 'আমার মনে আছে, আমি যখন কলেজে ভর্তি হই, বাবা মারা গিয়েছেন, আমার গলায় একটি মটরমালার হার ছিল। সেটা বিক্রি করে আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম।'

সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে SC-ST পড়ুয়ারা বিনামূল্যে ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন।

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের ছাত্রাবস্থার কথা স্মৃতিচারণ করেন মমতা। তিনি বলেন, 'আমার মনে আছে, আমি যখন কলেজে ভর্তি হই, বাবা মারা গিয়েছেন, আমার গলায় একটি মটরমালার হার ছিল। সেটা বিক্রি করে আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম।'

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ৮৬ লক্ষেরও বেশি মেয়েরা কন্যাশ্রী পাচ্ছেন। নবম শ্রেণীতে সকলকে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। আগে শুধুমাত্র মেয়েদের সাইকেল দেওয়া হত। একবার ঝাড়গ্রাম যাচ্ছিলাম। একটি বাচ্চা ছেলে আমার গাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল। ও বলল, সবুজ সাথীর সাইকেল শুধু মেয়েরাই পাবে? ছেলেরা পাবে না? আমি ভাবলাম ঠিকই তো। ছেলে-মেয়ের ভেদাভেদ করা উচিত নয়। তাই জাতপাত, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য সবুজ সাথী সাইকেল  দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১৫ লক্ষ সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপের জন্য নম্বরের নিম্নসীমা
এর পাশাপাশি মুখ্যন্ত্রী বলেন, আর্থিকভাবে দুর্বল জেনারেল কাস্টের পড়ুয়ারা কিছু পায় না। স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপে আগে এটি ৭৫% নম্বর পেতে হত। একবার এক মা আমাকে বলল, আমার মেয়ে পাশ করেছে। টাকার অভাবে পড়াতে পারছি না। ও কি বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাবে? আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমার মেয়ে কত নম্বর পেয়েছে। বললেন ৬০%। তখনই আমি বললাম স্কলারশিপের জন্য নূন্যতম নম্বর ৬০% কর।  এখন অনেকেই ফার্স্ট ডিভিশন পায়। আমাদের সময়ে সেকেন্ড ডিভিশনেই পাশ করলে অনেক বেশি মনে করা হত। 

যোগ্যশ্রী
এদিন, SC-ST-দের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের নাম দিলাম যোগ্যশ্রী। জেলায় জেলায় ৫০টি সেন্টার চালু করা হচ্ছে। চাকরির জন্য জেলায় ২টি করে মোট ৪৬টি সেন্টার করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ডিএম, এসপিরাও উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ করছেন। 

Advertisement

স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ স্কিম
স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ স্কিম নামে এক নতুন ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এই স্কিমে ছেলে মেয়েরা অল্প বয়স থেকেই সরকারি কাজে প্রশিক্ষণ পাবেন। ১ বছরের জন্য আড়াই হাজার কলেজ পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে। তাঁরা ভাল কাজ করলে তাঁদের যোগ্যতার বিচার করে চাকরিটা রিনিউ করা যেতে পারে। ইন্টার্নশিপে তাঁরা মাসে ১০ হাজার টাকা করে বেতনও পাবে। 

Advertisement