মহেশতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং তা ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত গতিতে। তবে আগুন নেভানোর কাজ করে চলেছে দমকল বাহিনী। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, আগুনকে বশে আনার জন্য ফোমের ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা আগে থেকেই দাবি করেছিলেন শুধু জল দিয়ে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে না। কিন্তু, তখন দমকল বাহিনী তখন কথা শোনেনি। প্রথম থেকেই ফোম ব্যবহার করলে আগুন এত ছড়াত না। এখন ফোমের ব্যবহার করা হচ্ছে।
আজ মহেশতলার এক রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। যার জেরে ৬ জন আহত হন। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এসেছে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
আজ সকালে মহেশতলার ওই কেমিক্যাল গোডাউন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। গোডাউনের ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। খবর পেয়ে প্রথমে সেখানে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কেমিক্যাল ভর্তি একটি ড্রাম থেকে বিস্ফোরণ হয় আর তার জেরে আগুন লাগে। দাহ্য পদার্থ থাকায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিস্ফোরণের সময়ই বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে জানা যায়, ৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা ড্রামের বিস্ফোরণকে আগুন লাগার কারণ বললেও দমকল বা পুলিশের তরফে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। তাদের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে চারপাশে আরও অনেক কারখানা রয়েছে। তাই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, যত দিন যাচ্ছে ততই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। গত মাসে বড়বাজারের ১২ নম্বর বোর্ন ফিল্ড লেনের একটি রাসায়নিকের দোকানে আগুন লেগেছিল। মার্চ মাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নারকেলডাঙা গেঞ্জি কারখানায়। মোট ৬টি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আবার এপ্রিলে লেনিন সরণিতে জ্যোতি সিনেমা হলের সামনে আগুন লাগে। কিছুদিন আগে জয়া সিনেমা হলেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এক মহিলা সহ অগ্নিদদ্ধ হন ২ জন। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আড়াই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।