scorecardresearch
 

মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা, জল্পনা নিশীথ-শান্তনুকে নিয়ে

সম্ভবত আর কয়েক দিনের মধ্যেই রদবদল হতে চলেছে মোদীর মন্ত্রিসভার। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং অন্যান্য নেতাদের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন নয়া মুখ ঠাঁই পেতে চলেছেন এবারের মন্ত্রিসভায়।

Advertisement
প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং নিশীথ প্রামাণিক। ফাইল ছবি প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং নিশীথ প্রামাণিক। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদলের সম্ভাবনা
  • জল্পনা নিশীথ-শান্তনুকে নিয়ে
  • সম্ভবত বাংলা থেকেও দুই সাংসদকে দেখা যেতে পারে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায়

সম্ভবত আর কয়েক দিনের মধ্যেই রদবদল হতে চলেছে মোদীর মন্ত্রিসভার। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং অন্যান্য নেতাদের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন নয়া মুখ ঠাঁই পেতে চলেছেন এবারের মন্ত্রিসভায়। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য, খুব সম্ভবত বাংলা থেকেও দুই সাংসদকে দেখা যেতে পারে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায়।

গত কয়েকদিন ধরে ঘনঘন দিল্লি সফরে রয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এবারে বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি লড়ে জিতেছিলেন। কিন্তু পরে বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদ থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের পরে একাধিকবার দিল্লি সফর করেছেন নিশীথ প্রামাণিক। জানা যাচ্ছে, এবার মন্ত্রিসভায় খুব সম্ভবত তাকে নিয়ে আসা হতে পারে। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে ভালো ফল করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের এক সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়েছে। অপরদিকে জল্পনায় ভাসছে মতুয়া নেতা তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নাম। তাঁকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। শান্তনু ঠাকুরের ভাই সুব্রত ঠাকুর বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছেন। নির্বাচনের আগে সিএএ- ইস্যুতে মাঝে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল শান্তনুর। যদিও এখন দু পক্ষের দাবি সেটা মিটে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই জানা গিয়েছে, বাংলা থেকে কয়েকজন সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় নিয়ে আসা হতে পারে। বর্তমানে বাংলা থেকে বিজেপির রয়েছে ১৮ জন সাংসদ। তার মধ্যে দুইজন অর্থাৎ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

জানা গিয়েছে, একজন প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রীসভায় ৮১ জনকে রাখতে পারেন। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদী মন্ত্রিসভায় রেখেছেন ৫৩ জনকে। অর্থাৎ প্রায় ২৮ জনের পদ খালি রয়েছে। কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে বর্তমানে একাধিক দফতর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ভারও লাঘব করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে এবার বড় রকমের রদবদল হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায়। উত্তরপ্রদেশের ভোটের কথা মাথা রেখে সেখান থেকে কয়েকজনকে নিয়ে  আসা হতে পারে। পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁকে মন্ত্রিসভায় সম্ভবত নিয়ে আসা হতে পারে। জল্পনায় নাম রয়েছে, সর্বানন্দ সোনওয়াল, সুশীল মোদীরও। পাশাপাশি সম্ভবত শরিক দলের নেতাদের কয়েকজনকেও মন্ত্রিসভা নিয়ে আসতে পারে বিজেপি।

Advertisement

Advertisement