scorecardresearch
 

Abhishek Banerjee on SSC Case: 'CPI(M)-BJP যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নিতে হাত মিলিয়েছে', নিশানা অভিষেকের

চাকরি বাতিলের হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। আর এই আবহেই ফের একবার যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকার কথা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘মেধাযুক্ত যোগ্য চাকরিপ্রাপকদের’ পাশে রয়েছে তাঁর দল।

Advertisement
 যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকার কথা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকার কথা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

চাকরি বাতিলের হাইকোর্টের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। আর এই আবহেই ফের একবার যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকার কথা বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ‘মেধাযুক্ত যোগ্য চাকরিপ্রাপকদের’ পাশে রয়েছে তাঁর দল। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, ‘মেধাযুক্ত যে যোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন, কেউ চিন্তা করবেন না… আমাদের সরকার, আমাদের দল আপনাদের পাশে থেকে কোমর বেঁধে, কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করবে। কারও চাকরি যেতে দেব না। তার জন্য যা আইনি লড়াই, আমরা চালাব।’

চাকরি বাতিলের প্রসঙ্গে সিপিএম-বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন  তৃণমূলের বিদায়ী  সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  অভিষেক বলেন, ‘সিপিআই(এম) নেতারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে আইনি বাধা তৈরি করেছেন, যার ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাদের এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করছে তাদের বন্ধু বিজেপি। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিচ্ছেন। অন্যদিকে, তারা (সিপিএম এবং বিজেপি) এটি কেড়ে নিচ্ছে।’ এর আগেও চাকরিহারা যোগ্য প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। নিজের নির্বাচনী প্রচার থেকে একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছে, চাকরিহারা প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। একই সুরে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে সেই যোগ্য ব্যক্তিদের পাশে থাকব যাঁরা তাঁদের চাকরি হারিয়েছে।’

 গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্ট ২০১৬ সালে এসএসসির সম্পূর্ণ নিয়োগের (গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ) প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরিহারা হন। এরপরই রাজ্য, এসএসসি ও পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে যায়। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর এজলাসে শুনানি শুরু হয়। কেন সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হল? রাজ্যকে প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে চাকরি বাতিলে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ এদিন  দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। ফলে যোগ্য-অযোগ্যদের চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহালই রয়েছে শীর্ষ আদালতে।  তবে কলকাতা হাইকোর্টর রায়ের ৮ নম্বর আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টর রায়ে বলা হয়েছিল, সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি যাঁরা করেছিলেন, প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা যাবে। রায়ের এই অংশটির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন

Advertisement

Advertisement