স্ট্র্যান্ড রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্য়েই শুরু রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, "দমকল কর্মীদের থেকে জানতে পেরেছি লিফট ব্যবহারের কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন তাঁরা। হয়ত তাঁরা তাড়াহুড়োতে ছিলেন। কিন্তু আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার করা উচিত নয়। সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।" একইসঙ্গে মমতা বলেন, "এটি রেলের দফতর। আমি ভেবেছিলাম এখানে তাদের তরফে কেউ থাকবেন। আমি খোঁজ নিয়েছি, কেউ আসেননি। এই ঘটনায় রেলেরও দায় রয়েছে। আমরা বিল্ডিং-এর প্ল্যান চেয়েছিলাম। কিন্তু সহযোগিতা পাইনি। তবে এটাকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না।"
যদিও মমতার এই অভিযোগ ট্যুইটে খারিজ করে দেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। ট্যুইটে গোয়েল বলেন, "দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে রেলের তরফে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করা হয়েছে।" আর এবার ট্যুইট করলেন আরও এক বিজেপি নেতা অমিত মালব্য(Amit Malviya)। ট্যুইটে অমিত মালব্য বলেন, "২০১০ সালের মার্চ মাসে বিরোধী নেত্রী থাকার সময় পার্কস্ট্রিট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও আগুন সংক্রান্ত সুরক্ষা ব্যবস্থায় কোনও উন্নতি হয়নি। আরও একবার রাজ্য সরকারের অবহেলা এতগুলো জীবনহানির কারণ হয়ে দাঁড়াল। বাংলায় পিসি ব্যর্থ।"
শুধু অমিত মালব্যই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেছেন মুকুল রায়ও। তিনি বলেন, "কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দায় এড়িয়ে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাব।" পাশাপাশি স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, "এই ধরনের ঘটনায় রাজনীতি টেনে আনা দুর্ভাগ্যজনক।" অন্যদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "যাঁরা দলবল এনে রাজনীতি করছেন সেটা ঠিক নয়।" সুজনের প্রশ্ন, "কলকাতায় ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড কেন? দমকল কর্মীদের নিরাপত্তা নেই কেন? কেনই বা গত ১০ বছরে হল না?" এক্ষেত্রে রেলের তরফে গাফিলতির রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সুজন।