দলকে 'ফোঁস' করার নিদান দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই মন্তব্য়কে হিংসা ছড়ানোর উস্কানি হিসেবেই দেখছে রাজ্য বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'এবার তোমাদের যা করার করো। প্রকারন্তরে হুমকি দিচ্ছেন, বাংলার মানুষকে মারো-পেটো। সাংবিধানিক পদে বসে হুমকি দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'। তিনি আরও বলেন,'আপনি যদি ভাবেন বাংলার জনগণের উপর অত্যাচার করবেন, আর বিজেপি চুপ করে বসবে! সেটা হবে না'।
সুকুমার রায়কে উদ্ধৃত করে সুকান্ত বলেন,'কবি সুকুমার রায় লিখে গিয়েছেন, সেই সাপ জ্যান্ত গোটা দুই আনত...। জনগণ বলবে,তেড়ে মেরে ডান্ডা করে দিই ঠান্ডা। বাংলার জনগণ তেড়ে মেরে ডান্ডা করে দিই ঠান্ডা করে দেব। যতই ফোঁস করুন, আপনি ও আপনার ভাইপোকে গণতান্ত্রিকভাবে মারার জন্য তৈরি হয় আছে সাধারণ মানুষ। গণতন্ত্রে মানুষ আপনাকে শিক্ষা দেবেন'।
সুকান্তের মন্তব্য,'বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা হলে অসম, মণিপুর অশান্ত হবে! এ তো বাংলাদেশের জামাতের ভাষা, ভারত বিরোধী শক্তির ভাষা। ভারতের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার কথা বলছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বলব তাঁর প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখুন'।
কামদুনির প্রসঙ্গ তুলে সুকান্তের দাবি,'আপনার পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছে। সিবিআইয়ের ঘাড়ে দোষ দিচ্ছেন! কামদুনি মামলার কী হল? আপনার সিআইডি তদন্ত করছে। নিম্ন আদালতে যারা শাস্তি পেয়েছিল তারা উচ্চ আদালতে মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। সবাই ছাড়া পেয়ে গেল।
এ দিন কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় তৃণমূল নেত্রী বলেছেন,'আমাকে অনেক অসম্মান আর গালাগালি দিয়েছেন। ভেবে দেখলাম, এদের বিরুদ্ধে আমি কোনওদিন বদলা নিইনি। বদলা নয়, বদল চাই বলেছিলাম। আজ বলছি, ও কথা নয়, যেটা করার দরকার সেটা ভালো বুঝে করবেন। আমি অশান্তি চাই না। চক্রান্ত করে যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে, তাঁকে কামড়াবেন না, ফোঁস তো করতে পারেন'। তিনি আরও বলেন,'রামকৃষ্ণ একটা গোখরো সাপকে বলেছিলেন কামড়াতে না। সে এসে বলেছিল, লোকজন আমায় ঢিল মারে। তখন রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন, তোকে কামড়াতে না বলেছি, ফোঁস করতে না বলিনি। ফোঁস করতে শিখুন। ফাঁস করে দিন'।