স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের তরফে সংক্ষিপ্ত নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি এখনই বাতিল নয়। যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন যোগ্য ও অযোগ্যদের মধ্যে বিভাজন করতে পারে তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি ভবিষ্যতে প্রমাণিত হয় কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য তখন পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুরো প্যানেল বাতিল হলে তার যে অভিঘাত, সেটার দায় আদালত কখনও অস্বীকার করতে পারে না। তাই তারা এই নির্দেশ দিচ্ছে। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট আজ জানায়, ২৬ হাজার চাকরি হারাদের এখনই বেতন ফেরত দিতে হবে না। একইভাবে ২৬ হাজার চাকরিজীবীদের এখনই চাকরি যাচ্ছে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রমাণ করতে হবে কারা যোগ্য বা কারা অযোগ্য।
প্রসঙ্গত, ২৬ হাজার চাকরিহারাদের মধ্যে কতজন যোগ্য প্রার্থী, কতজনকেই বা অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তার হিসেব দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের তরফে জানানো হয়, ১৯ হাজার জন বৈধ। সেই প্রমাণও তাদের কাছে আছে। যদিও এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে ৩ বার হলফনামা দিয়ে কমিশন জানিয়েছিল, অবৈধ চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার মতো। তবে সুপ্রিম কোর্ট আজ জানায়, যে তথ্য প্রমাণ স্কুল সার্ভিস কমিশন জমা দিয়েছে সেই মোতাবেক ৮ হাজার ৩২৪ অযোগ্য। স্কুল সাপ্ভিস কমিশনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়, যোগ্যদের যেন বাতিল করা না হয়। কারণ, তারা যে যোগ্য তার সব তথ্য ও প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
তবে দুর্নীতির মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কোর্টে জানান, গোটা প্রক্রিয়াটা অবৈধ। তাই প্যানেল বাতিল করা উচিত। তখন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, কেন সবাইকে অযোগ্য বলছেন? উত্তরে বিকাশরঞ্জন জানান, প্রক্রিয়াটা অবৈধ। তাই বাতিল করা উচিত। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানাতে পারে যে, কে যোগ্য আর কে অযোগ্য তাহলে তাঁদের কোনও প্রশ্ন নেই। আপত্তি নেই। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের আরও দাবি, কমিশন এখন জানাচ্ছে ৮ হাজার ৩২৪ জন অযোগ্য। কিন্তু সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত অযোগ্য বা যোগ্যদের সঠিক সংখ্যাটা জানা সম্ভব নয়।