রাজ্য বিধানসভায় সম্মুখ সমরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ধর্না লক্ষ্য করে 'চোর' স্লোগান দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা বিরোধী দলনেতাকে লক্ষ্য করেও তৃণমূলের তরফে ওঠে 'চোর' স্লোগান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভায়। সামলাতে আসরে নামতে হয় পুলিশকে। বিধানসভা চত্বরে যায় লালবাজারের স্পেশাল ফোর্স। দুই শিবিরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায় তারা।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ কালা দিবস পালনের ডাক দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। বিধানসভায় সমস্ত তৃণমূল বিধায়করা কালো পোশাক করে যান। কালো পাড়ের শাড়ি পরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্না চলছিল তৃণমূলের। উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর নাম করে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন শাসক দলের বিধায়করা।
অমিত শাহের সভা সেরে আচমকা বিধানসভায় যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্য বিজেপি বিধায়করাও। তৃণমূলের ধর্না লক্ষ্য করে শুভেন্দু 'চোর চোর' স্লেগান দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী দলনেতা। এর পর বিধানসভার মূল প্রবেশদ্বারের মুখে বসে পড়েন শুভেন্দুবাবুসহ অন্য বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূলের মুখোমুখি বসে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পাল্টা তৃণমূলের তরফেও ওঠে 'চোর' স্লোগান। চোর, চোর স্লোগানে ভরে যায় বিধানসভা চত্বর তৈরি হয় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি। বিধানসভার মধ্যেই তৈরি হয় উত্তেজনার পরিস্থিতি৷ উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে শেষ পর্যন্ত লালবাজারের বিশাল বাহিনী বিধানসভায় যায়।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এই সরকার চোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর। তিনি দুর্নীতির মাথা। আমরা তাঁর শাস্তি চাই।' এদিকে, তাঁকে লক্ষ্য করে চোর চোর স্লেগাানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, 'তৃণমূলের নাম নিয়ে লুট করে এখন বদনাম করছে। গদ্দারদের ভয় পায় না তৃণমূল।'