'ফিরহাদের এই মন্তব্য ভয়ঙ্কর'। কলকাতার মেয়রের বক্তব্য নিয়ে এহেন প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বারাকপুরে তিনি জানান,'২০২৪-এ রাজ্য বিধানসভায় শাসকদলের সংখ্যালঘু বিধায়কের সংখ্যা ৪৬। আর এই সংখ্যাটা যেদিন ৪৬ থেকে ১০০ হয়ে যাবে সেদিন কিন্তু পিসি-ভাইপোর জায়গা থাকবে না'।
শুভেন্দু বলেন,'এখন তো ওদের মাত্র ৪৬জন বিধায়ক!যে দিন একশোর ওপর বিধায়ক হবে সেদিন পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপো আর জায়গা পাবে না। ওরা যেদিন একশো পেরিয়ে যাবে সেই দিন পিসি-ভাইপোর ল্যাটাও চুকে যাবে'।
তিনি যোগ করেন,'তৃণমূলের হিন্দুর নেতারাও শুনে রাখুন। ভারতে আর সংবিধান বলে কিছু থাকবে না। মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের আইন চালু হয়ে যাবে দেশজুড়ে। এখন একটু একটু ছোট ছোট আপনারা শর্ট ফিল্ম দেখছেন । সন্দেশখালির বিধায়কের মার খাওয়া দেখেছেন । মিনাখাঁর বিধায়কের মার খাওয়া দেখেছেন । সুশান্ত ঘোষের গুলি খাওয়া দেখেছেন । একটু একটু দেখছেন ছোট ছোট শর্ট ফিল্ম । এরপরে পুরো ফিল্ম দেখবেন'।
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম?
সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিম জানান,'আমরা এমন একটা ধর্মের লোক, যাঁরা বাংলায় ৩৩ শতাংশ, আর ভারতে ১৭ শতাংশ। আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবি না। আল্লাহর রহমত থাকলে একদিন আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়েও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠব। আল্লার মেহেরবানিতে নিজেদের শক্তিতে সেটা হাসিল করব। যাই-ই ঘটুক আমাদের ধর্মের লোকেরা দেখি মোমবাতি নিয়ে মিছিল করে সুবিচারের দাবি করেন। মিছিল করলে সুবিচার মেলে না। এমন জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে হবে যেন সুবিচার চাওয়া নয়, আমরা সুবিচার দিতে পারি'।
শরিয়ত শাসনের ইঙ্গিত
ফিরহাদের এই বক্তব্য বাংলায় ইসলামিক শাসনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,'মমতা সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিচার নিজের হাতে নেওয়ার কথা বলছেন। সম্ভবত তিনি শরিয়ত আইন চালু করার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বিজেপির আইটি সেল ইনচার্জ অমিত মালভ্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,'হাকিম এমন এতটা ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করছেন যখন মুসলিমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করবে না, তাঁরা আইন হাতে তুলে নেবে। অর্থাৎ শরিয়ত আইনের দিকে ইঙ্গিত করছেন। যেমনটা চোপড়ায় তৃণমূল বিধায়ক মহিলাকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের পক্ষে সাফাই দিয়েছিলেন'।