scorecardresearch
 

Fake Vaccination Case : ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশি তদন্তে আদৌ কতটা সত্য উঠে আসবে, এবার কার্যত সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার এক ট্যুইটে পুলিশের তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি।

Advertisement
শুভেন্দু অধিকারী শুভেন্দু অধিকারী
হাইলাইটস
  • ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ
  • জেরায় উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য
  • পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর

ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে একদিকে যেমন তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, তেমনই ক্রমশই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। ঘটনায় পুলিশি তদন্তে আদৌ কতটা সত্য উঠে আসবে, এবার কার্যত সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার এক ট্যুইটে পুলিশের তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, "রবীন্দ্রনাথের মূর্তির ফলক ভেঙে দেওয়া থেকে কলকাতা পুলিশের টুইট মুছে দেওয়া, কসবা জাল ভ্যাকসিনকাণ্ডে যেভাবে একটার পর একটা তথ্যপ্রমাণ লোপাট চলছে, এ অবস্থায় এ রাজ্য সরকারের পুলিশি তদন্তে কি প্রকৃত সত্য উঠে আসা সম্ভব? মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা চলছে!" 

ফলকে নাম, সিপির সঙ্গে ছবি
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। যাতে দেখা যায়, তালতলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মূর্তির ফলকে ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশকয়েকজন নেতানেত্রীর সঙ্গে নাম রয়েছে ঘটনায় অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের। যার জেরে রীতিমতো শোরগেল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। পরে সেই ফলক ভেঙেও ফেলা হয়। এর ঠিক পরেই শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মার সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। 

দেবাঞ্জনের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ
এদিকে দেবাঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারিদের হাতে। সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের কর্মী ও প্রাক্তন কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছেন তদন্তকারিরা। এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে তলব করা হয়েছে। আরও বেশকয়েকজনকে ডাকা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও তদন্তকারিরা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে চিঠি লিখত দেবাঞ্জন। কলকাতা পুরসভা, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, পূর্ত দফতর সহ বিভিন্ন দফতরের স্ট্যাম্পও তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

Advertisement

সেরামকে চিঠি লেখে দেবাঞ্জন
সূত্র মারফত আরও খবর, জেরায় দেবাঞ্জন জানিয়েছে কোভিশিল্ড পাঠানোর জন্য সে সেরাম ইনস্টিটিউটে ছিঠি লিখেছিল। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারিরা। manager@kmcgov.org নামে একটি ভুয়ো ইমেল আইডিও তৈরি করেছিল সে। এখনও পর্যন্ত তার ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এছাড় নিজের সংস্থার নামেও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল তারা। সেই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই নিজের কর্মীদের বেতন দিত দেবাঞ্জন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কসবা ও সিটি কলেজে ২টি এই ধরনের টিকাকরণ ক্যাম্পের কথা স্বীকার করেছে দেবাঞ্জন। 


 

Advertisement