'জো হমারে সাথ, হম উনকে সাথ'। দিন কয়েক আগে দলীয় বৈঠকে শুভেন্দুর এই স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে সরেননি শুভেন্দু। সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছেন, এটা রাজনৈতিক স্লোগান। প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক মন্ত্র সবকা সাথ সবকা বিকাশের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। শুক্রবার সিইএসসি ভবনের সামনে বিজেপির ধর্নামঞ্চে শুভেন্দু কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন, এ রাজ্যে হিন্দুত্বের পথেই হাঁটতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন,'বাজারে যান তো, ১-২০তে পাওয়া যায় পাউচ। ২-২০ তে মেলে আলু। এখন তো ৫০ টাকা হয়ে গিয়েছে। আগুন লেগেছে বাজারে। আর ফিরহাদ বাকিম বলছেন দাওয়াত-এ-ইসলাম। গীতা হাতে নিয়ে বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বুঝিয়ে দিয়েছি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা জাগছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ার। ২কোটি ৩৩ লক্ষ ভোট পেয়েছি। বিজেপির ভোটে ছাপ্পা, দুধে জল নেই, মুসলিমের ভোট নেই। খাঁটি ভোট পেয়েছে বিজেপি'।
সংখ্যালঘু ভোটের আশা ছেড়ে হিন্দু ভোটই নিজেদের ইভিএমে আনতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তা খোলাখুলিই বলেছেন শুভেন্দু। তাঁর মন্তব্য,'আর ৩-৪ শতাংশ হিন্দুরা ভোট দেবেন না? এখনও ঘুমোবেন? ১৪৬ সিটে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আর ২ শতাংশ দরকার'।
ভোটে ভরাডুবির পর শুক্রবার এই প্রথম পথে নামল বিজেপি। বিদ্যুতের অতিরিক্ত মাসুল প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শুভেন্দুরা। শহুরে ভোটারদের মন পেতেই যে এই ধর্না তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা বলেন,'উত্তর কলকাতায় ৬০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতে লিড আছে বিজেপি। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা নিলে লিড ৪৭। যাদবপুরে ৫৪টি ওয়ার্ডে বিজেপিকে জিতিয়েছে মানুষ। ৭৪টি পুরসভায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি লিড। শহর বলছে, মমতা যাচ্ছে'।
আগামী দিনে শহরের ভোট পেতে বিদ্যুতের বেলাগাম মাসুল বৃদ্ধিকে ইস্যু করতে চলেছে বিজেপি। শুভেন্দু বলেন,'এটা তো শুরু হল। এ পহলে ঝাঁকি হ্যায়, আভি বিদ্যুৎ ভবন বাকি হ্যায়। অগাস্টে সিইএসসি এলাকায় বিক্ষোভ চলবে। ১ দিন ২ ঘণ্টার বিক্ষোভ নয়। পাঁচদিন লাগাতার সোম থেকে শুক্র ধর্না দেব। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাবাবু হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন। আশা করি, বাড়তি মাসুল প্রত্যাহার করবেন, যাতে বিজেপিকে পথে নামতে না হয়'।