দেশজুড়ে সাজ সাজ রব। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে। একাধিক রাজ্যে অনুষ্ঠান হবে। ইতিমধ্যেই ধুমধাম শুরু হয়ে গেছে। ওই দিনই কলকাতা শহরে একাধিক জায়গায় রামের পুজো করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর।
কলকাতার গড়ফা, যাদবপুরের পূর্বাচল, শকুন্তলা পার্ক, পোস্তা গণেশ টকিজ ও ভবানীপুরে ২২ জানুয়ারি রাম পুজো এবং মিছিলের অনুমতি চেয়ে এদিন বিজেপির তরফে হাইকোর্টে মামলা করার অনুমতি চান আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচাৰ্য এবং তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালত আবেদন গ্রহণ করেছে। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে।
Why is conducting Shree Ram Puja such a hassle in West Bengal?
Why is Mamata Police denying permission to the Organisers?
Is it because the West Bengal Govt is Anti Hindu and doesn't respect the sentiments of the Hindu Community?
It's a shame that in the Land of Lord Ram,… pic.twitter.com/2AYBPQxFpBআরও পড়ুন
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 18, 2024
উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা নতুন তৈরি রাম মন্দিরে রামের মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। সেদিনই কলকাতায় সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মিছিল পিছনোর দাবিও জানানো হয়। তাঁর যুক্তি ওই মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়াতে পারে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। একই বক্তব্য আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকিরও।
এরমধ্যেই টুইটারে শুভেন্দুর অভিযোগ, পুলিশ আয়োজকদের অনুমতি দিতে অস্বীকার করছে। তাঁর প্রশ্ন, এতে কী পশ্চিমবঙ্গ সরকার হিন্দু বিরোধী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুভূতিকে সম্মান করে না? তাঁর বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার কালীঘাট বহুমুখী সেবা সমিতিকে অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধন সরাসরি সম্প্রচার করার এবং দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রাণ সাসমল পার্কে পুজো ও কীর্তন করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না।
শুভেন্দুর বক্তব্য, 'আমি এই হিন্দু বিরোধী রাজ্য সরকার এবং এর দাস প্রশাসনকে বলি - যারা ভগবান রামকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের প্রতি ইতিহাস সদয় হয়নি।'