তারাপীঠে সারাবছর ভক্তদের সমাগম লেগেই থাকে। হাজার হাজার মানুষ আসেন তারা মা-কে দেখতে। তবে এবার মন্দিরে গেলে দর্শন মিলবে না তারা মায়ের। এমনিতেই বর্ধমান–সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে কাজের জেরে ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আর তার জেরে এখন মায়ের ভক্তরা এখন তারাপীঠ যেতে পারছেন না। কিন্তু তার মধ্যেই আবার মূর্তি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মন্দির সূত্রে খবর, করোনা লকডাউনের সময় মন্দিরের নানা কাজ হলেও গর্ভগৃহের সংস্কারের কাজ করা যায়নি। এখন তা করা হচ্ছে। ফলে তারাপীঠের তারা মায়ের মূর্তি এখন স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, তারাপীঠের ভৈরবের মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তারা মায়ের মূর্তি। প্রাথমিকভাবে খবর, আগামী এক সপ্তাহ সেই মন্দিরেই থাকবে তারা মায়ের মূর্তি।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সূত্রে খবর, গর্ভগৃহ ও বেদী সংস্কারে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। মন্দিরের রঙ হবে। তাই মায়ের মূর্তি স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরের কাছে তারাপীঠ অবস্থিত। মা তারার মন্দির ও মন্দির-সংলগ্ন শ্মশানের জন্য বিখ্যাত এই সিদ্ধপীঠ । এই মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূল গাছের নিচে বসে সাধনা করতেন সাধক বামদেব। ভক্তকে নিরাশ করেননি মা তারা। দেখা দেন বামদেবকে।
কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি ৷ দেবীও নিরাশ করেননি৷ মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে এটি সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত।