২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী চাকরি প্রার্থীদের জন্য বড় খবর। সেই সব শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা নেই। নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিল, শিক্ষক নিয়োগে আর কোনও বাধা নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০২২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়। কিন্তু নিয়োগে জটিলতা তৈরি হয় বিএড ও ডিএলএড নিয়ে। কারণ, দেশের শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির ক্ষেত্রে বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিএলএড পাশ করা বাধ্যতামূলক। অথচ ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। পরবর্তীকালে আদালতের নির্দেশের জেরে জটিলতা তৈরি হয়।
এদিকে পর্ষদের প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যাঁরা ডিএলএডের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁরাও নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেন। ওই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২৩ সালের এপ্রিলে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। তাঁদের যুক্তি ছিল, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পর্ষদ কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। তারপরই সোমবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দিল শীর্ষ আদালত। জানাল, পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।