লুঠেরাদের অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছুটে আসা গুলির তোয়াক্কা না করে তাদের পিছু ধাওয়া করছেন সাদা পোশাকের এক পুলিশকর্মী। এলোমেলোভাবে তোলা বাস্তবের সেই দৃশ্য যেন পাল্লা দিচ্ছিল কোনও দক্ষিণী অ্যাকশন সিনেমার সঙ্গে। তারপর থেকেই রানাঘাট থানার এএসআই (Ranaghat ASI) রতন রায় (Ratan Roy) যেন বাস্তবের হিরো।
পুলিশ দিবসে রানাঘাটের সোনার দোকানে ডাকাতির পর দুষ্কৃতীদের ধরার ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্যের পর রানাঘাট থানার পাঁচজন পুলিশ অফিসারকে (Ranaghat ASI) পুরস্কৃত করলেন রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কন্নন। রানাঘাট থানার আইসি সঞ্জীব সেনাপতি এস আই রতন রায়, আলতাফ হোসেন, সাব ইন্সপেক্টর জয়ন্ত ঠাকুর এবং মলয় সাহাকে এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে আটজনের একটি ডাকাত দল ওই শোরুমে ক্রেতা হিসেবে ঢোকে। তারপরেই স্বমূর্তি ধরে তারা। নিরাপত্তারক্ষী এবং শোরুমের কর্মীদের মারধর করে ও বেঁধে রেখে ৮ কোটি টাকার সোনা এবং হিরের গয়না লুঠ করে চম্পট দেয়। পালানোর সময় পুলিশ পিছু ধাওয়া করায় গুলি ছুড়তে থাকে তারা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই রানাঘাট থানার পুলিশ পিছু ধাওয়া করে তাদের। ডাকাতরা গুলি চালাচ্ছিল। কিন্তু তারমধ্যেই রতন রায় পাল্টা গুলি চালিয়ে ধাওয়া করেন। তাঁর নিশানায় ঘায়েল হয় দুই ডাকাত। শেষপর্যন্ত পাঁচ ডাকাতকে পাকড়াও করা হয়। উদ্ধার হয় বেশ কিছু গয়না। বাকি গয়না উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।