scorecardresearch
 

TMC In Delhi: 'ঔদ্ধত্য ও অহংবোধ অন্ধ করে দিয়েছে', দিল্লিকাণ্ডে BJP-তে তীব্র আক্রমণ মমতার

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছিলেন। যদিও তিনি দেখা করেননি। তার পরেই টিএমসি প্রতিনিধি দল ধরনায় বসে পড়ে।

Advertisement
'অহংকার ও অহংবোধ অন্ধ করে দিয়েছে', দিল্লিকাণ্ডে BJP-তে তীব্র আক্রমণ মমতার 'অহংকার ও অহংবোধ অন্ধ করে দিয়েছে', দিল্লিকাণ্ডে BJP-তে তীব্র আক্রমণ মমতার
হাইলাইটস
  • দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে
  • রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন অভিষেকও

দিল্লিতে কৃষি ভবনে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অফিসে ধরনায় বসে থাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের আটক করার প্রায় ৩ ঘণ্টা পরে দিল্লি পুলিশ ছেড়ে দেয়। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক অভিযোগ করেন যে দলের মহিলা সাংসদ-সহ নেতাদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশ দুর্ব্যবহার করেছে। তিনি এটাও দাবি করেন যে তাঁকে চুল ধরে টেনে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, 'আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি অন্ধকার দিন।'

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছিলেন। যদিও তিনি দেখা করেননি। তার পরেই টিএমসি প্রতিনিধিদল ধরনায় বসে পড়ে। মন্ত্রী দেখা না করা পর্যন্ত কৃষি ভবনেই বসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক। তবে ধরনা বেশিক্ষণ চলেনি। পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বের করে দেয় এবং আটক করে মুখার্জীনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তুমুল ধস্তাধস্তি হয়।

এই ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন বলে অভিহিত করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, 'বাংলার জনগণের প্রতি বিজেপির ঘৃণা, দরিদ্রদের অধিকারের প্রতি তাদের অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুরোপুরি বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে তারা নির্মমভাবে বাংলার দরিদ্র মানুষদের জন্য জরুরি তহবিল আটকে রেখেছে এবং যখন আমাদের প্রতিনিধিদল শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে এবং জনগণের দুর্দশার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে দিল্লি যায়, তখন তাদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করা হয়েছে, প্রথমে রাজঘাটে এবং তারপরে কৃষি ভবনে।'

আরও পড়ুন

মমতা আরও লিখেছেন, 'দিল্লি পুলিশ আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্লজ্জভাবে দুর্ব্যবহার করেছে। তাঁদের জোর করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং সাধারণ অপরাধীদের মতো পুলিশ ভ্যানে রাখা হয়েছিল৷ কারণ তাঁরা ক্ষমতার কাছে সত্যি কথা বলার সাহস করেছিলেন। তাদের ঔদ্ধত্যের সীমা নেই এবং অহংকার তাদের অন্ধ করে দিয়েছে। তারা এখন বাংলার কণ্ঠকে দমন করতে সব সীমা অতিক্রম করেছে।'  শেষে তিনি লিখেছেন, 'কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু’বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।'

Advertisement

বুধবার বাংলায় বিক্ষোভের ঘোষণা

দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ বুধবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে। দিল্লিতে হেনস্থার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কলকাতায় রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন অভিষেকও। বেলা ৩টের সময় রাজভবন অভিযানের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি

তৃণমূলের উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি করা

এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেছেন যে তিনি তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন। তিনি বলেন, 'আজ আড়াই ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছে। আজ আমি তৃণমূল সাংসদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে রাত সাড়ে ৮ টায় অফিস থেকে বেরিয়েছি। মিটিং করা নয়, তৃণমূলের সাংসদ এবং বাংলার মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি করা। এটি তৃণমূল নেতাদের দ্বারা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।'

পাল্টা তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেছেন যে সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি মিথ্যা বলছেন। মহুয়া এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'আপনি আমাদের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার জন্য সময় দিয়েছিলেন। আপনি আমাদের প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়ার আগে সমস্ত নাম পরীক্ষা করেছেন, চেক করেছেন। আমাদের ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করান এবং তারপর পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। মহিলা সাংসদদের কোনও কাগজপত্র ছাড়াই সূর্যাস্তের পরে পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। আমাদের সবাইকে কুইন্সওয়ে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে।'

Advertisement