ভিক্টোরিয়া হাউসের সভাস্থল ইতিমধ্যেই কর্মী-সমর্থকদের ভিড় শুরু হয়ে গেছে। বেলা ১২টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ দিতে ওঠার কথা। উত্তীর্ণ বা করুণাময়ী, যেখানে যেখানে তৃণমূল কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সকাল সকাল খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। ডিম সিদ্ধ, ডাল, ভাত পেট পুরে খাওয়ানো হচ্ছে কর্মীদের। এরপরই সভাস্থলের দিকে রওনা হবেন তাঁরা।
বিধাননগরের দত্তাবাদ অঞ্চল থেকে ধর্মতলার দিকে রওনা হলেন তৃণমূল সমর্থকেরা। পরণে সাদা শাড়ী আর হাতে প্রতীকী ভাণ্ডার নিয়ে এগোচ্ছেন মহিলারা। রাজ্যের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর নাম লেখা ভাণ্ডার রয়েছে তাঁদের হাতে। বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলো দত্ত এবং এই ওয়ার্ডের প্রেসিডেন্ট নির্মল দত্তের নেতৃত্বেই এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা যাচ্ছেন ধর্মতলা দিকে। বসিরহাটের মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ সহ একাধিক এলাকা থেকে নদী পার হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গৌড়েশ্বর, বেতনী, ইছামতি ও কলাগাছি নদী পার হয়ে মালঞ্চ, ধামাখালি ও লেবুখালি সহ একাধিক পয়েন্টে পৌঁছচ্ছেন কর্মীরা। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে বা বাসে করে চলেছেন কলকাতার দিকে। স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া ও বসিরহাট ১ নম্বর ব্লক বহু মানুষ টাকি রোড, বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ধর্মতলার দিকে এগোচ্ছেন।
সদ্য শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জয়ের আবহেই এবার ২১ জুলাই পালন করছে তৃণমূল। তবে ভোট চলাকালীন যে সব কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের কথা মাথায় রেখে এবার 'শহিদ দিবসে'র পাশাপাশি 'শ্রদ্ধা দিবস' পালন করছে তৃণমূল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ধর্মতলার দিকে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই একদিন বা ২ দিন আগে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন বৃহস্পতিবার।
ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তিনটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মঞ্চে থাকবেন তৃণমূলের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা, একটিতে থাকবেন দলের ‘শহিদ পরিবার’এর সদস্যরা এবং মূল মঞ্চে থাকবেন দলের শীর্ষ স্তরের নেতৃত্বরা।