ভারতের 'আন্ডার দ্য রিভার' মেট্রো যাত্রার স্বপ্ন খুব শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে। কারণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এই বছরে হুগলি নদীর তলদেশে চলার জন্য প্রস্তুত। গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো চড়ার স্বপ্ন কলকাতাবাসীর বহু দিনের। নতুন বছরে সেই স্বপ্নের আরও একটু কাছে পৌঁছল মানুষ। ইতিমধ্যেই জলস্তরের থেকে ৩৩ মিটার নীচে তৈরি হয়েছে দুই সুড়ঙ্গ, কৃতিত্বে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো করিডোরের যাত্রীরা যা হাওড়া ময়দানকে সল্টলেক সেক্টর ৫-এর সাথে সংযুক্ত করবে।
এই ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেলের নির্মাণ কাজ রেকর্ড ৬৬ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং এই টানেলের দৈর্ঘ্য ৫২০ মিটার। এই দুর্দান্ত টানেলগুলি হুগলি নদীর তলদেশে হাওড়া এবং কলকাতার দুই শতাব্দী প্রাচীন শহরকে সংযুক্ত করবে যা কয়েক বছর আগে কল্পনাও করা যেত না। নদীর নীচে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কৃতিত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি, গঙ্গা নদী পেরোনোর রোমাঞ্চকর অনুভূতি যাত্রীদের মধ্যে জাগিয়ে তুলতেই নীল আলো এবং অন্যান্য বিশেষ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
জলের নীচের আবহ তৈরি করতে বিশেষ সঙ্গীত এবং লেসার প্রযুক্তির আলো ব্যবহার করা হচ্ছে। সে জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
সুড়ঙ্গের তলা দিয়ে মেট্রো যাবে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড। টানেলগুলি অভ্যন্তরীণ ব্যাস ৫.৫৫ মিটার। যাতে ২৭৫ মিমি পুরু আরসিসি সেগমেন্টাল স্থায়ী লাইনার রয়েছে। নদীর তলা দিয়ে মেট্রো চলাকালীন টানেলের ভেতরের দেয়ালে নীল আলো দিয়ে বিশেষ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলইডি আলোর মাছ থাকছে টানেলে। ৪০টি মাছ থাকছে টানেলে। আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ফিলিপস। মেট্রো রেলওয়ে এই অংশে কিছু বিশেষ সাউন্ড ইফেক্টের কথাও ভাবছে এই অনন্য যাত্রাকে আনন্দদায়ক করে তুলতে।