ভিড় বাড়ছে ডাক্তারখানায়। বাড়ির কারও জ্বর হলে বাকিদেরও হচ্ছে। এমনটাই পরিস্থিতি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, একবার জ্বর হলে তা থাকছে প্রায় ৫-৬ দিন। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বাড়ির অন্যদের মধ্যেও। কথা বলা, হাঁচি বা কাশির সময় ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই পরিবারের কারও কাছে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। কলকাতায় এই ভাইরাল জ্বর বেশি হচ্ছে। প্রচুর মানুষ জ্বরে ভুগছেন। তবে সাধারণ জ্বরের চিকিৎসাই করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্তদের ১০১ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর উঠছে। সেইসঙ্গে গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা হচ্ছে। তবে জ্বর সেরে গেলেও দুর্বল করে দিচ্ছে শরীর। শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। তাদেরও জ্বর হচ্ছে। তাই বাড়িতে কারও জ্বর হলে শিশুদের তাঁর কাছে ঘেঁষতে বারণ করা হচ্ছে।
এদিকে জ্বর এবং গলাব্যাথার জন্য কলকাতার বহু স্কুলে পড়ুয়া কমছে। বেশ ক'য়েকটি স্কুলে সম্প্রতি ৭ থেকে ৩০ জনের মতো পড়ুয়া অনুপস্থিত থাকছে। শিক্ষকরাও অসুস্থ হয়ে পড়ায় ক্লাস নিতে পারছেন না। শহরের একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ভাইরাল সংক্রমণ বাড়ছে। তাই শিশুদেরও বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত শিক্ষকরাও আসতে পারছেন না।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিছু ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ও বি এবং প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গেই একযোগে এখন হামলা চালাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, রেসপিরেটরি সিন্সিটিয়াল ভাইরাস। প্রথমে একটি ভাইরাসে কাবু হচ্ছে শিশুরা। দুর্বল শরীরে কয়েক দিনের মাথায় ফের অন্য একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে দু'দফায় জ্বর আসছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সব ক'টি ভাইরাসের ক্ষেত্রেই কয়েক দিন পরে 'রিল্যাপসে'র আশঙ্কা থাকেই। পাশাপাশি স্কুলে গিয়েও নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছে অনেকে। এর মূল চিকিৎসা হলো প্যারাসিটামল এবং জল ও ওআরএস-সহ প্রচুর তরল খাবার।