উৎসবে ফিরুন। বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো আসতে আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। পুজোর আয়োজন এখন চলছে জোরকদমে। আর এর মাঝেই রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল। আর তাতেই জানিয়ে দেওয়া হল এবছর কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার। লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন এবার আয়োজন করা হচ্ছে কার্নিভালের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৬ সালে রেড রোডে কার্নিভালের সূচনা হয়। তার পর থেকেই প্রতি বছর হয়ে আসছে কার্নিভাল। শুধু তাই নয়, এর জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোর কার্নিভালের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতিবারের মতো এবারও রেড রোডের উপর মঞ্চ তৈরি করা হবে। তার জন্য আলোর ব্যবস্থা থেকে শুরু, ইন্টারনেট পরিষেবা এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু প্রয়োজনীয় কাজের জন্য দরপত্র সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি চেয়েছিল রাজ্য সরকার।
২০২৩ সালে কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর কার্নিভালের জমক আরও বেড়ে যায়। এবার দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হবে ১৫ অক্টোবর। সে কথা জুলাই মাসেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেইমতো রাজ্যের পূর্ত দফতরের তরফে কার্নিভালের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রেড রোডে। পাশাপাশি বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানও দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের ২২টি জেলা ও বিদেশের পুজো গুলিকেও শারদ সম্মানে ভূষিত করা হবে। সেরার সম্মান ষষ্ঠীর দিন ঘোষণা করা হবে। এরজন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইন ও অফলাইনে আবেদন করা যাবে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী ৯ অক্টোবরই দেবী দুর্গার বোধন। কিন্তু, বর্তমানে যা পরিস্থিতিতে তাতে কার্নিভালে কতগুলি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে তা অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর অনুদান একের পর এক ক্লাবগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে পুজো কমিটিগুলোকে উৎসবে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি, এবার উৎসবে ফিরুন, পুজোয় ফিরুন।'