আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবারের (Saturday) মতো রবিবারও (Sunday) প্রায় একই জায়গায় রইলো শহর কলকাতা (Kolkata) ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যা ছিল ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার গ্রাফ। পাশপাশি রবিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম। পাশাপাশি বেশকিছু জায়গায় সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা কেটে যাবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
শনিবারই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল সোমবার পর্যন্ত মোটামুটি একই জায়গায় থাকবে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ। মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যদিও উত্তরবঙ্গে মালদা, দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলায় ভারি কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত এবার গোটা শীতকালেই তাপমাত্রার যথেষ্ট উত্থানপতন চোখে পড়েছে। জানুয়ারির প্রথমদিকে ২ থেকে ৩ দিন হাড় কনকনে শীতের অনুভূতি থাকলেও তারপরেই থেকেই ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। একটা সময় দিনের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে চলে যায়। যার জেরে কপালে রীতিমতো দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা দেয় শীত প্রেমিদের। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই কামব্যাক করে শীত।
এদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও বেশ খামখেয়ালীপনা দেখা যায় আবহাওয়ার। একদিকে উত্তরভারতে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, সঙ্গে আবার বৃষ্টিতেও ভেজে কোনও কোনও অঞ্চল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক আজ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের তাপমাত্রা। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে রাজধানী দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি, পুনেতে ১৫.২ ডিগ্রি, আহমেদাবাদে ১৪.৪ ডিগ্রি, হায়দরাবাদে ২০.২ ডিগ্রি, চেন্নাইতে ২৩.৪ ডিগ্রি, বেঙ্গালুরুতে ১৮ ডিগ্রি এবং মুম্বইতে ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।