অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই হাওয়ায় হালকা ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল, এবার ঝুপ করে শীত পড়ে যাবে। আশা ছিল, নভেম্বরের শুরু থেকেই কলকাতা সহ দুই বঙ্গে নামবে পারদ। কিন্তু সাগরে তৈরি হওয়া বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের দাপটে চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকেই আবহাওয়া বদলে গেল। রাতের তাপমাত্রা কমার বদলে বাড়ছে কলকাতায়।
দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় কাল, শুক্রবার হালকা বৃষ্টি হয়েছে। আজ, শনিবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরের একটু বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তবে রবিবারের পর থেকে ধীরে ধীরে বদলাবে আবহাওয়ার গুমোট ভাব। মঙ্গলবার থেকে ফের পারদ নামবে অর্থাৎ শীত অনুভূত হবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সাগরে তৈরি হওয়া বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের দাপটে শনিবারও দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। রবিবার থেকে ধীরে ধীরে আকাশ মেঘমুক্ত হবে। মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে নামবে রাতের পারদ। কলকাতার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। মঙ্গলবারের পর তা স্বাভাবিক হবে। শনিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ থেকে শীত ভাব অনুভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রের খবর, পূর্ব ও উত্তরপূর্বের হাওয়ায় ক্রমেই শক্তিবৃদ্ধি করছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া বিপরীত ঘূর্ণা্বর্ত। একই সময় শ্রীলঙ্কায় তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এটি বঙ্গোপসাগরের ওপরে অবস্থান করা নিম্নচাপকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। যার প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই এরাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি তামিলনাড়ু ও কেরলের বিভিন্ন অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তামিলনাড়ু ও কেরলে এই পরিস্থিতি আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে।