বেশ কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল। মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিল রাজ্যবাসী। তবে ফের চাঁদিফাটা রৌদ্রে পুড়বে রাজ্য। বাড়বে অস্বস্তিও। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা এক ঝটকায় বাড়ডতে পারে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকী বইতে পারে লু-ও।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া শুরু হবে। দক্ষিণবঙ্গে লু-এর সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে কলকাতার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফলে তাপমাত্রা বেড়ে হতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের। আবার পশ্চিমের জেলা যেমন,পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ইত্যাদি জেলাগুলিতে হু হু করে বাড়বে গরম। তাপমাত্রা বেড়েই যাবে। ৪০ ডিগ্রিরও বেশি তাপমাত্রার সাক্ষী থাকতে পারে সেই সব জেলার মানুষ।
তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিবঙ্গের দু এক জায়গাতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে তাতে অস্বস্তি কমবে না। ফলে জুনের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যবাসীকে গরমের সাক্ষী থাকতে হবে। বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হবে। এমনিতেই সোমবার সকাল থেকেই অস্বস্তিুকর গরম বোঝা গেছে। তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা জারি করা না হলেও জুনের প্রথম সপ্তাহেই ব্যাপক গরম পড়বে।
আবার উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও তাপমাত্রা বাড়বে। বেশ কয়েক জায়গাতে সামান্য বৃষ্টি হলেও বা তাপমাত্রা কম থাকলেও জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদা ইত্যাদি জেলাতে তাপপ্রবাহ বইতে পারে। এদিকে সোম ও মঙ্গলবার বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। বেলা বাড়লে গরম বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তিও হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সোমবার তা বেড়ে যায়। হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগর থেকে ঠিকভাবে জলীয় বাষ্প বাংলায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাই বর্ষা ঢুকতে খানিক দেরি হচ্ছে। তবে রবিবার আলিপুর সূত্রে খবর, আপাতত বর্ষা সময়মতোই ঢুকবে বাংলায়। তবে তার আগে পর্যন্ত ভ্যাপসা গরমের কষ্ট থেকে মুক্তি নেই।