নতুন এই ফ্লাইওভারটি তৈরি হলে নিউটাউন থেকে নবান্ন যাওয়া যাবে মাত্র ২০ মিনিটে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। ইএম বাইপাসের (EM Bypass) ওপরে হতে চলেছে এই ফ্লাইওভার। বাইপাসের ধারে নতুন ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনার কথা চলছে বহুদিন ধরেই। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
চন্দ্রিমা ঘোষণা করেছেন, ইএম বাইপাস ও নিউটাউনে (মহিষবাথানের কাছে) একটি নতুন ফ্লাইওভার তৈরি করা হবে। ফ্লাইওভারটি হবে ৭ কিমির। ৪ লেনের ফ্লাইওভারটি তৈরি হতে সময় লাগবে আনুমানিক ৩ বছর। খরচ হবে ৭২৮ কোটি। এবছরেই কাজ শুরু হওয়ার কথা। প্রথম বছরে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে।
সব ঠিক থাকলে আগামী চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে এই ফ্লাইওভার তৈরির কাজ চালু করা হবে। প্রায় প্রত্যেক দিনের জ্যাম যন্ত্রণা নিয়ে নিউটাউনে যাতায়াত করতে হয় কলকাতার হাজার হাজার বাসিন্দাকে। একটা বড় সময় ধরে যে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস ছিল কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থার ধমনীর মতো। বাইপাসের অধিকাংশ রাস্তা গত পাঁচ ছয় বছরের মধ্যে কয়েক গুণ চওড়া হয়েছে। কিন্তু চিংড়িঘাটার জ্যাম আজও কমেনি। অথচ সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শুরু করে নিউটাউন এবং রাজারহাটে একের পর এক নতুন অফিস-ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। তাই দ্রুত যাতায়াতের প্রয়োজনীয়তা মেটাতেই ওই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
৭ কিমি লম্বা হবে ওই ফ্লাইওভার। মেট্রোপলিটন ক্রসিং থেকে নিউ টাউন সংলগ্ন মহিষবাথান পর্যন্ত বিস্তৃত হতে চলেছে এই ফ্লাইওভার। শহরের গতি বাড়াতে একাধিক উড়ালপুলের (Flyover) প্রস্তাব করেছে রাজ্য নগরায়ন দফতর। তার মধ্যে অন্যতম হল বাইপাসের (Bypass) উপর এই নয়া উড়ালপুল। সূত্রের খবর, উড়ালপুলটি তৈরির জন্য রাজ্য পূর্ত দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি। এর আগে বিষয়টির দায়িত্বে ছিল কেএমডিএ। সূত্রের খবর, গোটা প্রকল্পটির জন্য একটি ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআরও তৈরি করার কাজও শুরু হয়েছে।