আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে CISF মোতায়েন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জওয়ানদের সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই ওই হাসপাতালে জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের আদেশ মানছে না। যা আদালত অবমাননার সামিল। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেন্দ্র।
আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় ৯২ জন CISF কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ৫৪। কেন্দ্রের অভিযোগ, হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকা জওয়ানরা থাকার জায়গার সমস্যায় ভুগছেন।
কেন্দ্রের অভিযোগ, মহিলা নিরাপত্তাকর্মীরা থাকার উপযুক্ত বাসস্থান পাচ্ছেন না। নিরাপত্তা সরঞ্জাম রাখার জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র এখন বলছে, পশ্চিমবঙ্গের যা বর্তমান পরিস্থিতি তাতে জওয়ানদের সুযোগ সুবিধা না দেওয়া বা তাদের অসহযোগিতা করা রাজ্যর পক্ষে মোটেও ভালো কাজ নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এমন অসহযোগিতা প্রত্যাশিত নয়। এখন রাজ্যের চিকিৎসকদের এবং বিশেষ করে মহিলা ডাক্তারদের নিরাপত্তা দেওয়া সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সরকারের দাবি, অনুরোধ সত্ত্বেও তাদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি। এটা কাম্য নয়। এটা কার্যত আদালতের আদেশ অমান্য করা।
কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করছে। যা অসাংবিধানিক ও নৈতিক নীতিরও পরিপন্থী। সিআইএসএপ হাসরপাতালে রয়েছে সেখানকার নিরাপত্তার জন্য। অথচ সেই তাদেরই থাকার ও সরঞ্জাম রাখার জায়গা দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সোমবার রাতে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সপাটে চড় কষান এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার আলিপুর আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। আদালত থেকে সন্দীপকে বার করা হচ্ছিল। সেই সময়ই তাঁকে এক ব্যক্তি চড় কষান বলে অভিযোগ। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে সোমবার সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিন সন্দীপকে নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে ঢোকার সময় সন্দীপকে দেখে 'চোর, চোর' স্লোগান দেওয়া হয়। সন্দীপকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে সন্দীপকে বেরোনোর সময় তাঁকে এক ব্যক্তি চড় মারেন বলে অভিযোগ।