বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সাবধানবাণী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের মন্ত্রীদের তাঁর সতর্কবার্তা,'বাংলাদেশ নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করবেন না। ফেসবুক বা অন্যান্য নেট মাধ্যমে কোনও পোস্ট করবেন না'। সুত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। যা বলার ভারত সরকার বলবে'।
উস্কানিমূলক মন্তব্য না করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন,'এমন কোনও পোস্ট করবেন না যাতে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট নয়। এমন কোনও মন্তব্য করবেন না যাতে হিংসা বা প্ররোচনা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের এই ঘটনায় আমরা সকলে উদ্বিগ্ন। এমন কিছু লিখবেন না যাতে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। বিজেপি নেতারা এমন কিছু পোস্ট করতে পারেন, যা প্ররোচনা দিতে পারে'। বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।
এদিকে, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। সে দেশে গঠিত হতে চলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। জামানের বার্তা,'রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখুন। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখুন। দয়া করে সাহায্য করুন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত থাকুন'।
বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেছেন,'এক কোটি শরণার্থী বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন। এটা লিখে রাখুন। রংপুরের কাউন্সিলর হারাধন নায়ককে খুন করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে ১৩ জন পুলিশ খুন হয়েছে। তাদের মধ্যে ৯ জন হিন্দু। নোয়াখালিতে হিন্দু বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানাচ্ছি।' বিরোধী দলনেতা দাবি করেন,'সিএএ-তে বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার সংস্থান রয়েছে। কেন্দ্র সরকার তা করেছে ইতিমধ্যেই। তাঁর কথায়, যদি কোনও ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আসেন, তাহলে তাঁকে এদেশে আশ্রয় দেওয়া হবে। এটা কেন্দ্রীয় সরকার বলে দিয়েছে। তাই সেই পথে হাঁটা দরকার।'