হোলি উপলক্ষে রাজ্যের কোভিড বিধিতে ছাড় দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিধিনিষেধ বাড়িয়ে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। রাতে বলবৎ ছিল নৈশ কার্ফু। তবে হোলিকা দহন উপলক্ষে তাতে ছাড় দিল রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানান হল, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। হোলিকা দহন উপলক্ষে ১৭ মার্চে রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু প্রত্যাহার করা হল। ওই দিন রাতে হোলিকা পুড়িয়ে উদযাপন করেন বহু মানুষ। সেই আনন্দে যাতে সকলে সামিল হতে পারেন, সেজন্য এই উদ্যোগ নিল নবান্ন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছিল ১৫ মার্চ পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় কোভিড বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়ে গিয়েছে। খালি বলবৎ রয়েছে নৈশ কার্ফু।
এদিকে রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গিয়েছে ১০০-র নীচে। বৃহস্পতিবার সংক্রামিত হয়েছেন ৯৮ জন। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১১২ জন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১, ৫১৯। সংক্রমিত হার ০.৪৬ শতাংশ। ফলে কোভিড নেই বললেই চলে। কেন্দ্রীয় সরকারও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যগুলি চাইলে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে সব কিছু স্বাভাবিক করে দিতে পারে। সেই দিকেই এগোচ্ছে বাংলার সরকার। সমস্ত বিধিই শিথিল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- হোলি কবে? হোলিকা দহনে এই সময়ে পুজো সম্পন্ন না হলে বাধাবিপত্তি