রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুলে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে এমন অভিযোগ করে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। এবার পাল্টা চিঠি মমতা স্পষ্ট জানালেন,কেন্দ্রের বক্তব্যের সঙ্গে তিনি সহমত নন। সতর্কবার্তা দেওয়া তো দূর, ডিভিসি এক তরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে জল ছাড়ে।
কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক জানিয়েছিল, রাজ্যের প্রতিনিধিকে জানিয়েই জল ছাড়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (DVC)। জবাবি চিঠিতে মমতা লিখেছেন,'এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি সহমত হতে পারছি না। রাজ্যের সম্মতি ছাড়াই একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় জল কমিশন এবং জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। তাছাড়া সাড়ে ৩ ঘণ্টা আগে জানিয়ে ৯ ঘণ্টা ধরে জল ছাড়া হয়েছে। যা বুঝিয়ে দেয় বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থা কতটা অদক্ষ!'
রীতিমতো তারিখ ও সময় ধরে সবিস্তারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী-
১। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ডিভিসি চেয়ারম্যানকে আমি অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সেই অনুরোধ মানা হয়নি।
২। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ২.৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে জানানো হয়নি। ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টা ৩৪ মিনিটে ২.৩ লাখ কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি। তারপর ৫টা ২ মিনিটে আরও ২ লাখ কিউসেক, সন্ধে ৬টায় ২ লক্ষ কিউসেক এবং রাত ১১টা ২০ মিনিটে আরও ২.১ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়।
৩। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজ্যের অনুরোধে কান দেওয়া হয়নি। তাছাড়া আমাদের অনুরোধে সাড়া দিতে গিয়ে আড়াই থেকে সাড়ে ৭ ঘণ্টা দেরিও হয়েছে।
মমতা আরও লিখেছেন,'আমার মনে হয়, আড়াই লক্ষ কিউসেক জল না ছাড়তেও হত। বন্যা পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেজন্য চেষ্টা করা হয়েছিল বলে যে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। মাইথন এবং পাঞ্চেতে সংস্কারের কাজ চলছে বলে শুনেছি। তা শেষ হয়নি। প্রতিবাদ হিসেবে ডিভিসির কমিটি থেকে আমার প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি'।