scorecardresearch
 

Kolkata Semiconductor Mamata: রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান! মোদী-বাইডেনের পর সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট নিয়ে বললেন মমতা

Kolkata Semiconductor Mamata: কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর কারখানা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই বিষয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবার, একটি টুইটের মাধ্যমে এই বিশাল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পিছনে রাজ্য সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।

Advertisement
হাইলাইটস
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
  • টুইটে এই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পিছনে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
  • মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড মহামারীর পর অনেক চিপ-ডিজাইনিং এবং প্যাকেজিং স্টার্টআপ পশ্চিমবঙ্গের ওয়েবেল আইটি পার্কে চলে আসে।

Kolkata Semiconductor Plant: কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর কারখানা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই বিষয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটে এই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পিছনে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর টুইট:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর টুইটে জানান, 'আমি গর্বিত যে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতার এই ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আমেরিকার মাননীয় প্রেসিডেন্ট এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর যৌথ ঘোষণায় সেটাই প্রমাণ হয়েছে।'

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিনিয়োগের পিছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা এবং পরিশ্রম। আর তার জেরেই অবশেষে সেমিকন্ডাক্টর খাতে এই বড় মার্কিন বিনিয়োগ আসতে চলেছে। তিনি উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এবং পাবলিক সেক্টর ইউনিট ওয়েবেল, গত বছরের শুরু থেকেই সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন বড় সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করছিল।

রাজ্যের লাগাতার প্রচেষ্টায় সাফল্য:

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড মহামারীর পর অনেক চিপ-ডিজাইনিং এবং প্যাকেজিং স্টার্টআপ পশ্চিমবঙ্গের ওয়েবেল আইটি পার্কে চলে আসে। সেই সময় থেকেই গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ, সিনপসিস, মাইক্রন সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলি পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্মেলনে যোগ দিতে এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা শুরু করে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত গ্লোবাল VLSI কনফারেন্স ২০২৪-এ এই সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলি অংশ নিয়েছিল। এর ফলে রাজ্যে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অবশেষে, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ কলকাতায় তাদের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে, এই বিনিয়োগে রাজ্য সরকার সবরকমভাবে সহযোগিতা প্রদান করবে।  

Advertisement

সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের ফলে অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে।

অর্থনীতির ওপর প্রভাব:

  1. বিনিয়োগ বৃদ্ধি: একটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য বড় অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ আসে। এটি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে।
  2. সহ-শিল্পের বিকাশ: চিপ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সাপ্লাই চেইন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং লজিস্টিকসের মতো শিল্পগুলিরও উন্নতি ঘটে।

কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব:

  1. উচ্চমানের চাকরির সুযোগ: প্রযুক্তিনির্ভর এই শিল্পে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্থানীয় প্রযুক্তি-শিক্ষিত যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে চাকরি বাড়বে।
  2. আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থান: প্ল্যান্টের পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা, যেমন প্রশাসন, নিরাপত্তা, এবং ম্যানুফ্যাকচারিং-এ সংশ্লিষ্ট কম প্রশিক্ষিত কর্মচারীদেরও প্রয়োজন হয়। এটি কর্মসংস্থানের পরিধি বাড়ায়।

সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টের গুরুত্ব:

সেমিকন্ডাক্টর বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির মূল ভিত্তি। চিপগুলি স্মার্টফোন, কম্পিউটার, গাড়ি, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এবং ডেটা সেন্টারের মতো সবকিছুতেই ব্যবহৃত হয়। তাই, সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট থাকা একদিকে যেমন প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই তা একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যও অপরিহার্য।

Advertisement