কলকাতা-সহ ১১ জেলায় আজ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গতকালও পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছিল ছিঁটেফোটা। তাতে গরম কমা তো দূরের কথা, উল্টে ভ্যাপসা পরিস্থিতি বেড়ে যায়। ক'য়েকদিন ধরেই তীব্র গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। সকালের দিকে রাস্তায় বেরোলেই দরদর করে ঘামছেন লোকজন। সেইসঙ্গে রয়েছে জ্বালাপোড়া রোদ। বৃষ্টি হচ্ছে না। আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিলেও বৃষ্টির দেখা নেই। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষাও দেরিতে ঢুকছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
যদিও সময়ের আগেই দেশে এবং বাংলায় প্রবেশ করেছিল বর্ষা। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১০ জুনের বদলে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে ১২ বা ১৩ জুন নাগাদ। আগামী ৩১ মে কেরল হয়ে বর্ষা প্রবেশ করার কথা ছিল দেশে। ৩০ মে কেরল উপকূলে এসে পৌঁছয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। কেরলে ইতিমধ্যেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বর্তমানে একটু একটু করে উত্তর-পূর্বের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। যার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজ়োরাম, মণিপুর এবং অসমেও। সেই আবহে হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, সব ঠিকঠাক চললে জুনের প্রথম সপ্তাহের শেষে বা দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে আরও ২-৩ দিন দেরি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ।
দিনকয়েক ধরেই তীব্র গরম কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দিনভর অস্বস্তি চলছে। রাতেও শান্তি নেই। দেশে সাধারণত জুন মাসে বর্ষা ঢোকে। সেপ্টেম্বরে বর্ষার মরসুম শেষ হয়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এ বছর দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্বের কিছু অংশ ছাড়া সারা দেশে ভাল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।