রাজ্যে আপাতত বৃষ্টি ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও সীমিত, কেবলমাত্র দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা অঞ্চলে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন রবিবার সামান্য বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, শীতের আমেজে আশান্বিত মানুষদের জন্য আবহাওয়া দফতরের বার্তা—তাপমাত্রা এখনই কমবে না।
আবহাওয়া দফতরের মতে, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত রাজ্যে তাপমাত্রা বিশেষ পরিবর্তন হবে না। যদিও উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে নভেম্বরের শেষ দিকে, তারপরে ধীরে ধীরে শীতের আমেজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে শীতের আবহ অনুভূত হতে পারে, বিশেষত ২৫ তারিখের পর থেকে উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের বিভিন্ন
কলকাতায় এখন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই এবং আকাশ পরিষ্কার থাকবে।
আজ, বৃহস্পতিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং বুধবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা ৫৫ থেকে ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত থাকবে, যা শহরের আবহাওয়া কিছুটা আর্দ্র করে তুলবে। আগামী কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনাও কম।
উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে, বিশেষত দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে সামান্য বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার থেকে এই অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে, উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ফলে সমতলের এলাকাগুলি শুষ্ক আবহাওয়ার মধ্যেই থাকবে।
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার, ছট পুজোর সময় রাজ্যজুড়ে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই পরিষ্কার আকাশ বিরাজ করবে। যদিও কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যেতে পারে, তবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতরের মতে, নভেম্বরের শেষের দিকে রাজ্যে শীতের আমেজ পড়তে শুরু করবে। সুতরাং, শীতের প্রহর গুনতে থাকা মানুষেরা আরও কিছু দিন অপেক্ষা করলেই রাজ্যে শীতের আগমনী বার্তা শুনতে পাবেন।