শীত সবে পড়তে শুরু করেছে। তার মধ্যেই রাজ্যে আবহাওয়ার বড়সড় বদলের ইঙ্গিত। হালকা শীতের আমেজের মধ্যেই বৃষ্টি হতে পারে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। মৌসম ভবনের তরফে এই পূর্বাভাস মিলেছে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ থাইল্যান্ড সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আর তা থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সোমবারই তা হতে পারে। শক্তি বাড়িয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে বদলে যেতে পারে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১২ ঘন্টায় তা নিম্নচাপ হবে। পরবর্তী দু’দিনে এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ হতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে। তবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এই নিম্নচাপের জেরে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শক্তি বাড়িয়ে এটা নিম্নচাপে আদৌ পরিণত হবে কি না, তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গে বুধবার থেকেই হাল্কা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার বদল উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশ কিছু জেলায়।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এবং তা ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে অবস্থান করলে, সেক্ষেত্রে আপাতত শীতের আগমন অনেকটাই পিছিয়ে যেতে পারে। কারণ তাপমাত্রা হ্রাসের জন্য আকাশ পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। দিন ভূপৃষ্ঠে শোষিত তাপ রাতে বিকরিত হয়। এই কারণেই পারদ নামে। কিন্তু আকাশে মেঘের চাদর থাকলে সেটি বাধা পায়। উল্টে তাপমাত্রা তাই বেড়ে যায়।
কলকাতায় আজ, সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল, রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৮ থেকে ৯৫ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২০ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে ৷ আজ থেকে ৩০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের আন্দামান সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।