scorecardresearch
 

West Bengal BJP President: রাজ্য BJP-র পরবর্তী সভাপতি কে? সব জল্পনা দিলীপ-শুভেন্দুতেই শেষ নয়

রাজ্য বিজেপি-র বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপি-র দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, এক ব্যক্তি দুটি পদ আঁকড়ে রাখতে পারেন না। অতএব নতুন সভাপতি আসবেন, এটা নিশ্চিত। এবং নতুন সভাপতির সবচেয়ে বড় অ্যাসাইনমন্ট হবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন।

Advertisement
West Bengal BJP President West Bengal BJP President
হাইলাইটস
  • কে হতে পারেন রাজ্য বিজেপি-র পরবর্তী সভাপতি? 
  • দিলীপ-শুভেন্দু সম্পর্ক অম্ল-মধুর
  • শুভেন্দুর নাম ঘিরে চর্চা

গোয়েন্দা গল্পের মুখ্য আকর্ষণ, 'Who Done It'। গোয়েন্দা কীভাবে মগজাস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধীকে ধরছেন, সেটাই হয়ে উঠে পাঠকদের কাছে আকর্ষণ। পাঠকদের মনে চলতে থাকে, একটাই প্রশ্ন 'হু ডান ইট'।  রাজ্য বিজেপি-র নতুন সভাপতির (West Bengal BJP President) নাম ঘিরে কার্যত এমনই এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কে হতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধীদলের রাজ্য সভাপতি। ঠিক যেমনটি হয়েছিল, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কে হচ্ছেন রাজ্য বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী মুখ। নানা নাম। নানা জল্পনা। তেমনই বিজেপি-র পরবর্তী রাজ্যসভাপতি হিসেবে একাধিক নাম ঘুরছে রাজনীতির অলিন্দে। 

রাজ্য বিজেপি-র বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপি-র দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, এক ব্যক্তি দুটি পদ আঁকড়ে রাখতে পারেন না। অতএব নতুন সভাপতি আসবেন, এটা নিশ্চিত। এবং নতুন সভাপতির সবচেয়ে বড় অ্যাসাইনমেন্ট হবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। যাকে বলে একবারে গুরু দায়িত্ব। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যে রেজাল্ট ভাল হয়নি বিজেপি-র। গতবারের চেয়ে আসন কমে হয়ে গিয়েছে ১২। তারই মধ্যে দুজনকে নরেন্দ্র মোদী বেছে নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। 

কে হতে পারেন রাজ্য বিজেপি-র পরবর্তী সভাপতি? 

আরও পড়ুন

এখন প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি-রই কোনও নেতাকে সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) থেকে কাউকে আনা হবে? আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৫ সালে কার্যত সবাইকে চমকে দিয়ে দিলীপ ঘোষকে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আরএসএস-এর সংগঠন করা দিলীপ ঘোষকে তখন রাজ্যের বহু মানুষই চিনতেন না। রাহুল সিনহাকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষ যখন দায়িত্ব পেলেন, তখন কে দিলীপ ঘোষ, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন অনেকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমও। ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে সভাপতির পদ সামলেছেন তিনি। দিলীপের নেতৃত্বেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন লড়েছিল রাজ্য বিজেপি। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছিল বিজেপি। 

Advertisement

দিলীপ-শুভেন্দু সম্পর্ক অম্ল-মধুর

রাজ্য বিজেপি-তে দিলীপ ও শুভেন্দুর সম্পর্কটা অম্ল-মধুর, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের পরে সরাসরি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে 'কাঠিবাজি' হয়েছে। তাঁকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন দেওয়াকে চক্রান্ত বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে দলের পুরনো কর্মীদের মর্যাদা দেওয়ারও দাবি তুলেছেন দিলীপ। এহেন পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষকেই ফের রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে জল্পনা তুঙ্গে। দিলীপের সাংগঠনিক দক্ষতাকেই সে ক্ষেত্রে হাতিয়ার করছেন রাজ্য বিজেপি-তে দিলীপ ঘোষ-পন্থীরা। 

শুভেন্দুর নাম ঘিরে চর্চা

আবার অনেকের মতে, রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব নিক শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছেন। এহেন শুভেন্দুকে মুখ করেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল বিজেপি। ২০২০ সালে বিজেপি-তে যোগ দিলেও, গেরুয়া শিবিরে শুভেন্দু অধিকারীর উত্থান দ্রুত। তবে শুভেন্দুকে করলে আরএসএস ও বিজেপি-র পুরনো কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির বিশ্লেষকরা। কারণ, শুভেন্দু যতই বিজেপি-র মুখ হোন, আরএসএস ভাবধারা বা সক্রিয় ভাবে আরএসএস করা হিসেবে সেরকম কোনও অতীতের খোঁজ মেলেনি। বরং, কংগ্রেস রাজনীতি করেই উত্থান অধিকারী পরিবারের। 

তাহলে কি মহিলা মুখ ভরসা করতে পারে বিজেপি?

এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা যে এখনও শীর্ষে, ভোটের রেজাল্টই তার প্রমাণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই করতে গেলে আরেক জন মহিলা নেত্রী দরকার বলেও মনে করছেন রাজ্য বিজেপি-র একাংশ। লোকসভা ভোটে বাংলার মহিলা ভোট টানতে এবারও ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে নাম উঠে আসছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, দেবশ্রী চৌধুরী, মালতি রাভা রায়ের। এঁদের মধ্যে হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় এগিয়ে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র মাথাব্যথা মহিলা ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর জেরে যা বিজেপি-র হাতের বাইরে বর্তমানে। সে ক্ষেত্রে 'দুই নারী, হাতে তরোয়ারি' নীতি নিতে পারে রাজ্য বিজেপি। অর্থাত্‍ নারীশক্তি বনাম নারীশক্তি। 

পশ্চিমবঙ্গে যদি কোনও মহিলাকে রাজ্য সভানেত্রী করে বিজেপি, তা হবে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।

Advertisement