বাসযাত্রা আরও সহজ করতে এবার বড় পদক্ষেপ পরিবহণ দফতরের। সরকারি বাসের জন্য ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ‘যাত্রীসাথী’ অ্যাপ, যেখানে ১২টি রুটে বাসের অবস্থান, সময়সূচি, এমনকি টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা মিলছে। এবার সেই একই অ্যাপের আওতায় আনা হচ্ছে বেসরকারি বাস।
মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরের ময়দান টেন্টে একটি বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে পরিবহণসচিব সৌমিত্র মোহন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বাস সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যেমন সারা বাংলা বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং সিটি সাবার্বান বাস ইউনিয়নের সম্পাদক টিটু সাহা।
সরকারি পরিকল্পনা ও বেসরকারি বাসের অন্তর্ভুক্তি
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত এসি-৩৯, এসি-৫০এ, এসি-৩৭এ, ভি-১, এস-১০, এস-২৩এ, এসি-২, এসি-৪৩, এসি-৪০, এসি-২৩এ, ইবি-১২, এস-৬৬—এই ১২টি রুটের বেসরকারি বাসকে অ্যাপের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাস সংগঠনগুলিকে রুটের তালিকা, চালক ও কন্ডাক্টরের নাম, লাইসেন্সের কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
যাত্রীসাথীর বাড়তি সুবিধা
বর্তমানে যাত্রীসাথী অ্যাপে সরকারি বাসের টিকিট বুকিং ও অবস্থান দেখা যায়। ভবিষ্যতে এই অ্যাপে বেসরকারি বাসের অবস্থানও জানা যাবে। এছাড়াও, বাস মালিকরা তাদের বাসের রুট এবং ওভারটেকিং সংক্রান্ত বিষয় সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ
বেসরকারি বাসের অন্তর্ভুক্তিতে মূল বাধা ভাড়া নিয়ে। সরকারি তালিকায় যেখানে ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা, সেখানে বেসরকারি বাসে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাসের টিকিট বিক্রি অ্যাপে যুক্ত করা হলে কীভাবে ভাড়া নির্ধারণ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, আপাতত ১২টি রুটে এই ব্যবস্থা শুরু হলেও ভবিষ্যতে কলকাতার সমস্ত বাসকেই যাত্রীসাথী অ্যাপের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে শহরের বাসযাত্রা আরও স্মার্ট ও সুবিধাজনক হবে।
পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যাত্রীসাথী অ্যাপ শহরের যানবাহন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। সরকারি ও বেসরকারি বাস একসঙ্গে অ্যাপের আওতায় এলে যানবাহনের গতিবিধি আরও কার্যকরভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।”