শীতকালে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। যদি আপনার এই নভেম্বরে তেমন কোনও পরিকল্পনা থাকে তাহলে প্ল্যান করতে পারেন। আগামী ১৯ নভেম্বর গুড ফ্রাইডে। আর ২০ ও ২১ তারিখ হল উইকএন্ড। সেক্ষত্রে দিল্লি-এনসিআরের বাসিন্দারা ৫ হাজার টাকা খরচ করে ঘুরে আসতে পারেন নিকটবর্তী হিল স্টেশনে। এখানে রইল তেমনই ১০টি পাহাড়ি এলাকার সন্ধান। (সমস্ত ছবি সূত্র-গেটি)
রানিখেত, উত্তরাখন্ড - কুমায়ুনে অবস্থিত রানিখেত একটি অত্যন্ত সুন্দর হিল স্টেশন। এখানে ক্যাম্পিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পোর্টস অ্যাকটিভিটিজও করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া এখান থেকে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন চৌবাতিয়া বাগান, মাজখালি এবং ঝুলদেবী মন্দির। দিল্লি থেকে রানিখেতের দূরত্ব প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার।
মুসৌরী - দিল্লির কাছাকাছি আরও একটি হিল স্টেশন হল মুসৌরী। ট্রেকিং ও জলপ্রপাতের জন্যও এই জায়গা খুবই বিখ্যাত। তাছাড়া এখানে দেখার আরও জায়গা রয়েছে। সর্বোপরি মুসৌরীতে আপনি ৬০০ টাকার মধ্যে হোটেলও পেয়ে যাবেন।
ঋষিকেশ - স্রোতস্বিনী গঙ্গা দেখার পাশাপাশি ঋষিকেশে আপনি পাবেন রাফটিংয়ের সুযোগ। দিল্লি থেকে ঋষিকেশের দূরত্ব ২২৯ কিলোমিটার। এখানকার জন্য দিল্লি থেকে বাসও খুব সহজেই পাওয়া যায়। তাছাড়া ট্রেনেও পৌঁছানো যায় ঋষিকেশ। এখানে বিভিন্ন আশ্রম রয়েছে, যেখানে দৈনিক ১৫০ টাকারও কম খরচে থাকতে পারবেন আপনি। তাছাড়াও রয়েছে সস্তার বেশকিছু হোটেল ও হোমস্টে।
কসৌলী - এই ছুটিতে আপনি কসৌলীতেও যেতে পারেন। এখানে যেতে গেলে প্রথমে আপনাকে দিল্লি থেকে কালকা পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে শেয়ার ট্যাক্সিতে চলে যান কসৌলী। এখানে আপনি হাজার টাকার চেয়ে কমেই বিভিন্ন হোটেল পেয়ে যাবেন। এই ট্যুর মোটামুটি ৫ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে।
ল্যান্সডাউন - দিল্লি থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অস্থিত ছোট্ট শান্ত হিল স্টেশন ল্যান্সডাউন। এখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে বাসে বা ট্রেনে কোটদ্বার পৌঁছান। সেখান থেকে আর ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ল্যান্সডাউন। এখানে দেড় হাজার টাকার মধ্যে আপনি থাকার জন্য ভাল ঘর পেয়ে যাবেন।
বৃন্দাবন - যদি আপনি আধ্যাত্মিক স্বভাবের হন বা আপনার যদি ঐতিহাসিক স্থানের প্রতি আকর্ষণ থাকে তাহলে বৃন্দাবন ঘুরে আসতে পারেন। এখানে ছবি তোলার জন্য খুব ভাল ভাল জায়গা রয়েছে। বৃন্দাবনে ৬০০ টাকার মধ্যে ভাল হোটেলও পেয়ে যাবেন।
বিনসর - দিল্লি থেকে বিনসর পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ৯ ঘণ্টা। এই জায়গাটি বন্যপ্রাণের জন্য খবই প্রসিদ্ধ। এখানে পৌঁছনোর জন্য আপনাতে আগে যেতে হবে কাঠগুদাম। সেখান থেকে আপনি যাবেন বিনসর। সেখানে বেশিকিছু পাখী বা হরিণের দেখা আপনি পেতে পারেন। বিনসরে থাকা খাওয়ার খরচ খুব বেশি নয়।
কসোল - প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য় খুবই বিখ্যাত কসোল। এখানকার পানশালা ও রেস্তোরাঁগুলি আপনাকে গোয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে। দিল্লি থেকে রাতের দিকে বাস ধরে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন কসোলে। বাসের ভাড়া প্রায় ৮০০ টাকা। আর কসোলে হোটেল মোটামুটি হাজার টাকা মধ্যে পেয়ে যাবেন।
বারাণসী - দেশের অন্যতম জনপ্রিয়য় শহর উত্তরপ্রদেশের বারাণসী। দিল্লিতে থেকে ট্রেনে করে খুব সহজেই এখানে পৌঁছানো যায়। এখানে মোটামুটি ৫০০ টাকার মধ্যে আপনি হোটেল পেয়ে যাবেন।