NOTIFICATIONS
5th Nov
আজকাল অনেক মানুষের শরীরেই থাকে ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) সমস্যা। কিডনি ফিল্টার করতে ব্যর্থ হলেই শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ে। কারণ কিডনির কাজই হল ইউরিক অ্যাসিডকে ফিল্ডার করে মূত্রের সঙ্গে শরীর থেকে বের করে দেওয়া। যদি শরীরে প্রচুর পরিমান ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় তাহলে কিডনি (Kidney) তা ফিন্টার করতে পারে না। ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়।
সচেতনতার অভাবে তবে অনেকেই অবশ্য এই বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব দেন না। যার জেরে শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। এর ফলে গাউট বা আর্থ্রাইটিস এবং গাঁটে গাঁটে ব্যথা হতে পারে। জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মতামত।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ইউরিক অ্যাসিড এক প্রকারের প্রাকৃতিক বর্জ্য, যা শরীরে নিয়মিতভাবে উৎপন্ন হয়। এটি পিউরিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক থেকে উদ্ভূত, যা প্রাকৃতিক কোষ ভাঙ্গনের ফলে উৎপন্ন হয়। মহিলাদের জন্য স্বাভাবিক ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ২-৬ এবং পুরুষদের জন্য এটি প্রায় ৩-৭।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধূমপান, মদ্যপান ও অনেকক্ষণ বসে থাকার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে গাঁট ফুলে যাওয়া, হাঁটচলায় অসুবিধা এবং কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি আটকাতে এই সমস্ত খাবারগুলি খেতে পারেন।
রোজ ৮-১০ গ্লাস জল ও ফল - ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখআর জন্য রোজ ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করুন। তাজা ও মৌসুমী ফল খান। তারমধ্যেও কলা অবশ্যই খান।
বাদাম - শুকনো ফলও শরীককে সুস্থ রাখে এবং এনার্জি দেয়। প্রতিদিন বাদাম খেলেও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দুগ্ধজাত খাদ্য - দুধ, দই, মাখনের মতো খাবারগুলি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দিনে একবার কিসমিস দিয়ে দই খেয়ে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর মাখন মাংসপেশী এবং গাঁটের জন্য বিশেষভাবে উপকারি।
ডাল - ডালে প্রচুর পরিমান প্রোটিন থাকে। তাই পছন্দ মতো যে কোনও ডাল খেতে পারেন। তাছাড়া স্প্রাউটও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শরীরচর্চা - নিয়মিত ব্যায়াম ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রয়োজনে রোজ ৩০ মিনিট হাঁটুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন স্ট্রেন্থ ট্রেনিং নিন। স্ট্রেচ এবং যোগা করুন।
কী কী খাবেন না? - কেচাপ, টেট্রা প্যাক জুস, চকলেট, চিপস এবং বিস্কুট এড়িয়ে চলুন। এগুলো খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে।
