scorecardresearch
 

দীপিকার পর এবার আমির কন্যা, নিজের মানসিক অবসাদের কথা প্রকাশ্যে আনলেন সাহসী ইরা খান

‘মেন্টাল হেলথ ডে’ উপলক্ষ্যে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন ইরা। যেখানে তিনি জানিয়েছেন একসময় ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের স্বীকার হয়েছিলেন।

Advertisement
ইরা খান ইরা খান
হাইলাইটস
  • মানসিক অবসাদে ভুগেছেন একাধিক বলি তারকা
  • এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন আমির খান কন্যা
  • ‘মেন্টাল হেলথ ডে’ উপলক্ষ্যে প্রকাশ করলেন ভিডিও

মানসিক অবসাদ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় অসুখ। আগামী দিনে মানসিক রোগের সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। । ‘দ্য ল্যানসেট সাইকায়াট্রি জার্নাল’-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলছে, ভারতের প্রায় ২০ কোটি মানুষ (১৯ কোটি ৭৩ লক্ষ) নানা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এঁদের মধ্যে আবার ৪.৫ কোটির উপরে মানুষ ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার ও ৪.৪ কোটি মানুষ অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডারের শিকার। অথচ মনের অসুখ নিয়ে বেশিরভাগ মানুষের কোনও সচেতনতা নেই বললেই চলে। সম্প্রতি সিবিআই-এর প্রাক্তন অধিকর্তা অশ্বিনী কুমার এবং  বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পিছনে এই মানসিক অবসাদের কারণই উঠে এসেছে।  মনের অসুখ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে শনিবার ১১ নভেম্বর  বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় ‘মেন্টাল হেলথ ডে’ বা মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। আর এমন দিনেই নিজের মানসিক অবসাদ নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং আমির খান কন্যা ইরা খান।

‘মেন্টাল হেলথ ডে’ উপলক্ষ্যে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন ইরা। যেখানে তিনি জানিয়েছেন একসময় ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের স্বীকার হয়েছিলেন।  বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে মনের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এই ভিডিওটি তৈরি করেছেন তিনি। 

 

ইরা তার ভিডিওতে বলেন, "আমি  চার বছরেরও বেশি সময় ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলাম। ক্লিনিক্যালি ডিপ্রেশনের কারণে  চিকিৎসকের পরামর্শও আমাকে নিতে হয়েছে। তবে বর্তমানে আমি অনেকটাই ভাল আছি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, আমি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম, তবে আমি কী করব তা নিশ্চিত ছিলাম না। "

ভিডিওতে নিজের অনুগামীদের ইরা আরও জানিয়েছেন, " আমি আপনাদের সামনে আমার লড়াই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। আশা করব, আমরা সকলেই মানসিক সুস্থতার ব্যাপারে আরও বেশি সংবেদনশীল হব।"

শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অনেকেই সচেতন। ডায়েট, এক্সারসাইজে নিজেকে ঠিক রাখার প্রবণতা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু মানসিক রোগ নিয়ে এখনও ভাবেন না একটা বড় অংশের মানুষ। সেই রোগ চোখে দেখা যায় না। কিন্তু একটু একটু করে একজনকে শেষ করে দেয়। শারীরিক রোগের মতই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানসিক অবসাদ। বহু নামজাদা সেলিব্রিটিও এর আগে ডিপ্রেশনের স্বীতার হয়েছিলেন। অনেকেই এই বিষয়ে মুখ খুলতে চান না। তবে এই নিয়ে রাখঢাক করেননি বিলউড ডিভা দীপিকা পাডুকোন।   বলিউডের দীপিকার সাফল্য আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একের পর এক ব্লকবাস্টারের পরও মানসিক অবসাদে ভুগেছেন তিনি। তাই একাধিকবার দীপিকা এই বিষবে মুখ খুলেছেন। এমনকি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি। Live Love Laugh foundation নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে সেই সচেতনতার প্রচার চালান দীপিকা।

তবে কেবল দীপিকা বা ইরা নন। ধীরে ধীরে সংস্কার হাটিয়ে নিজেদের মানসিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলছেন একাধিক বলিউড তারকাও। কিছুদিন আগেই নিজের মানসিক অবসাদের কথা জানিয়েছিলেন ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। ‘হাইওয়ে’ ছবির কাজ শেষ করার পরে দীর্ঘ সময় অবসাদে ভুগেছেন রণদীপ হুডাও। বদলাপুর ছবির শুটিং-এর সময়ে বরুণ অবসাদে ভুগছিলেন। নিজেই স্বীকার করেছিলেন সে কথা। ঠিক অবসাদ না হলেও সব সময়ে উদ্বেগে ভোগেন অনুষ্কাও। এর জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলেন।

কোন না কোনও সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন বিলউড বাদশা শাহরুখ খান, হৃতিক রোশন, রণবীর সিং, ইরার বাবা আমির খান এবং রণবীর কাপুরও। 

Advertisement