Anti-Cancer Vegetables: ক্যান্সার (Cancer)একটি মারণ রোগ। এখন ভারতের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ঢুকে পড়েছে এই জটিল রোগ। এই মারণ রোগের প্রকোপে চলে যাচ্ছে কত তরতাজা প্রাণ। প্রত্যেকের জীবনেই ক্যান্সারের ঝুঁকি (Cancer Risks) প্রবল।
এর চিকিৎসা সম্ভব, কিন্তু তারপরও লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। ক্যান্সার ১০০টিরও বেশি রোগের একটি গ্রুপ। এটি শরীরের যে কোনও অংশে বিকাশ হতে পারে। যার মধ্যে কিছু ধরণের ক্যান্সার জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। তবে, প্রতিদিনের রুটিনে বদল আনলে মারণ রোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন। এর থেকে বাঁচাতে কী করবেন?
ক্যান্সার কী?
শরীরের সময়ে সময়ে কোষের প্রয়োজন হয়। এই কোষগুলিও মৌলিক একক যা মানবদেহ তৈরি করে। এ ক্ষেত্রে কোষগুলি বৃদ্ধি পায় এবং নতুন কোষ তৈরির জন্য বিভক্ত হয়। সাধারণত, কোষগুলি খুব পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মারা যায়। তারপর, নতুন কোষ তাদের জায়গা নেয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় জেনেটিক পরিবর্তন হলে তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। আর শরীরে কোনও অংশ শক্ত হয়ে ফুলে যায়।
এক্ষেত্রে জীবনযাত্রার সঠিক পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের উন্নতির মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচতে পারেন। এমন কিছু সবজির কথা যা বাজারে সহজেই পাওয়া যায়, এবং এই মারণ রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এই সবজিগুলিতে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যে কারণে এগুলি নিয়মিত সেবনে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
ক্যান্সার এড়াতে যা খাবেন (What to Eat)
ওল (Taro Root): এনআইএইচ-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, কোলোকেসিয়া পলিফেনলের একটি ভাল উৎস। পলিফেনলের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। পলিফেনল ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে কাজ করে। এর সঙ্গে, টিউমারজেনিক কোষগুলি হ্রাস করতেও সহায়তা করে।
টমেটো (Tomato): NCBI সমীক্ষা অনুসারে, টমেটো খাওয়ার উপকারিতাগুলি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দেখা যায়। লাল টমেটোতে লাইকোপিন থাকে যা ক্যারোটিনয়েড। এই যৌগ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কেমো প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য দেখায়। এছাড়াও, লাইকোপিনে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্যান্সারের বিকাশ প্রতিরোধ এবং প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
পালং শাক (Spinach): পালং শাকে উপস্থিত গুণাবলী শরীরে তৈরি হওয়া ক্যান্সার রোধের ক্ষমতা রয়েছে। পালং শাক বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এবং এই দুটি পুষ্টিই ক্যান্সার কোষের বিকাশ থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে কাজ করে। এগুলি ছাড়াও, এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে ফ্রি-র্যাডিক্যাল এবং কার্সিনোজেন প্রতিরোধে সহায়তা করে, একটি পদার্থ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
ব্রকলি (Brocolli): ব্রকলি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। ব্রকলিতে অল্প পরিমাণে সেলেনিয়াম রয়েছে যার অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও, এতে গ্লুকোরাফেনিন নামক পদার্থ রয়েছে, যা অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক পদার্থ সালফোরাফেনে রূপান্তর করতে পারে। এমতাবস্থায়, এটি স্তন ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সারের মতো অনেক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিত্সায় কার্যকর বলে বিবেচিত হতে পারে।
লাউ (Bottle Gourd): লাউ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর। আসলে, লাউয়ের কেমোপ্রিভেন্টিভ প্রভাব রয়েছে, যা ক্যান্সারকে দূরে রাখতে কাজ করে। ত্বকের ক্যান্সার দূরে রাখতেও লাউয়ের রসের ব্যবহার কাজ করে।