ছোট থেকে মেয়ে সন্তানরা তাদের মায়েদের দেখেই বড় হন। মায়েদের শাড়ি পরা, তাদের সাজগোজ দেখে অনেক ছোট ছোট মেয়েরাই মায়েদের মতো সাজার চেষ্টা করে থাকে। আর যদি কোথাও বাইরে বেরোনোর হয় তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো ছোট শিশুও তাকে সাজিয়ে দেওয়ার বায়না ধরে। সাজতে তো তারও মন চায়। মা সাজছেন, বড় বোন সাজছেন, সাজতে না দিলে শিশুর মন খারাপ হতেই পারে। কখনো আবার শিশু বায়না না ধরলেও বড়রা নিজেদের ইচ্ছায় শিশুকে সাজিয়ে দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সাজসজ্জার সব উপকরণ শিশুর উপযোগী নয়। কিছু উপকরণ শিশুর জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া নিত্যদিন সাজসজ্জার উপকরণ ব্যবহার করাও অনুচিত, জানাচ্ছেন শিশু বিশেষজ্ঞরাই।
১৩ বছরের আগে মেকআপ নয়
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৩ বছর বয়স না হওযা পর্যন্ত শিশুদের ত্বকে মেকআু সামগ্রী ও রাসায়নিক উপকরণ এড়িয়ে চলা উচিত। সাজতে চাইলে মেকআপ ছাড়াই একটি শিশুকে সুন্দরভাবে সাজানো যায়। শিশুর চুল দিয়েই নানা রকম সাজ হতে পারে। কোথাও যাওয়ার আগে সুন্দর একটি জুতো পরিয়ে দিন, ম্যাচিং জুতো পরান। শিশুর উপযোগী ক্রিম ও লোশন লাগিয়ে দিন। একটু অন্য রকম করে চুল আঁচড়ে দিন। দেখবেন তাকে এমনিই মিষ্টি লাগছে।
চুলে ক্লিপ লাগান ভেবেচিন্তে
চুলের সাজে ব্যান্ড কিংবা ক্লিপের মতো ছোটখাটো জিনিস জুড়ে দিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এগুলো যাতে শিশু মুখে না দেয়। ক্লিপজাতীয় জিনিস গলায় ঢুকে গেলে শ্বাসনালিতে আটকে যেতে পারে। তাই শিশুকে বলে রাখুন, এসব জিনিস খুলে রাখতে হলেও যাতে সে বড়দের সাহায্য নেয়। তবে একেবারে ছোট, অবুঝ শিশুকে তার নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব জিনিস দিয়ে সাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
শিশুর চোখে অন্য মেকআপ নয়
কাজল বাদে সব শিশুর ক্ষেত্রেই আইলাইনার, আইশ্যাডো এবং চোখের সাজের অন্যান্য উপকরণ এড়িয়ে চলতে হবে।
শিশুর উপযোগী ক্রিম-লোশন ব্যবহার করুন
ক্রিম, লোশনসহ যে কোনও প্রসাধনসামগ্রী শিশুর উপযোগী কি না, তা আগেই দেখে নিন। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত অবশ্যই শিশুবান্ধব পণ্য বেছে নিতে হবে। হাইপো অ্যালার্জিক পণ্যে প্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম।