গরমের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা। দিনের বেলায় তীব্র তাপ। রাতেও গরমে অতীষ্ট অনেকে। তবে গরম মানেই শুধু দুর্গতি নয়,নানা ধরনের ফলের সমাহার। এর মধ্যে অন্যতম ফলের রাজা আম। রসালো আমের নাম শুনলেই অনেকের মুখেই জল চলে আসে। রসালো কামড় মুখের ভিতরে গেলেই যেন সর্বসুখপ্রাপ্তি! হয়তো এ কারণেই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। স্বাদ ছাড়াও আমের বিবিধ উপকারিতা রয়েছে। আম ফাইবার, আয়রন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। আম খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আম খাওয়ার আগে বা পরে এমন কিছু জিনিস আছে যা খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে? আম খাওয়ার আগে বা পরে কী কী খেতে নেই চলুন জেনে নেওয়া যাক-
করলা- বেশিরভাগ মানুষই খাবারের সঙ্গে আম খেতে পছন্দ করেন। তবে করলার তরকারি খেয়ে থাকলে আম ভুলেও খাবেন না। করলা খাওয়ার পর বা আগে আম না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসলে আম এবং করলা পেটে গোলমাল তৈরি করতে পারে। যে কারণে বমি, ডায়রিয়া বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
মশলাদার খাবার-করলা ছাড়াও লাঞ্চে বা ডিনারে কিছু মশলাদার খাবার খেলে আম এড়িয়ে চলুন। মশলাদার খাবারের সঙ্গে আম খেলে অম্বল, পেট ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। এছাড়া মশলাদার খাবার এবং আম এক সঙ্গে খেলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে।
দই- আয়ুর্বেদ অনুসারে, দই শরীরে শীতল প্রভাব ফেলে। সেখানে আমের উষ্ণ প্রভাব রয়েছে। এমতাবস্থায় এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খেলে বা আম খাওয়ার পর দই খেলে শরীরে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হতে থাকে। এর ফলে বমি, গ্যাস, পেটে ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
আমিষ খাবার- আমিষ খাওয়ার পর বা আগে আম খেলে শরীরের বিবিধ ক্ষতিও করতে পারে। আম এবং আমিষ উভয়ই হজম হতে বেশি সময় নেয়। একসঙ্গে খেলে বদহজম হতে পারে। পেটের গোলমাল এড়াতে চাইলে মাছ-মাংস খাওয়ার আগে বা পরে আম খাবেন না।
জল- আম এবং জল দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে। কিন্তু তা একসঙ্গে খেলে সমস্যার কারণ হতে পারে। আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনও জল খেতে নেই। হজমের সমস্যা হতে পারে। পেটে ব্যথা, গ্যাস, বুকজ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই আম খাওয়ার আগে বা পরে সঙ্গে সঙ্গে জল খেতে নেই। কিছুটা সময় পরে জল খান।
আম খাওয়ার সঠিক সময়
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আম খেতে নেই। তেমন রাতেও আম খাবেন না। দুপুর ও বিকেলের মাঝে আম খান। আম খাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে বা পরে ভারী খাবার খান।