রাম হলেন ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। রাবণকে বধ করার জন্য ত্রেতাযুগে পৃথিবীতে অবতারণা করেছিলেন রাম। রাম মর্যাদা পুরুষোত্তম নামেও পরিচিত ছিলেন। কেন তিনি এই নাম পেয়েছেন জানেন? রাম মর্যাদা অনুসরণ করতে গিয়ে অনেক আদর্শ উপস্থাপন করেছিলেন। তাঁর কোন আদর্শ তাঁকে মর্যাদা পুরুষোত্তম বানিয়েছেন এবং কীভাবে সেগুলি গ্রহণ করে আপনার জীবন বদলে যেতে পারে, জানুন।
বাধ্য পুত্র: রাম ছিলেন একজন বাধ্য পুত্র। তিনি মা কৈকেয়ীর ১৪ বছরের নির্বাসনের ইচ্ছা মেনে নেন। তার পিতা রাজা দশরথ রাণী কৈকেয়ীর সঙ্গে বাগদান করেছিলেন। রাম অনুসরণ করেছেন 'রঘুকুলের প্রথা সর্বদা অনুসরণ করে, জীবন যেতে পারে তবে কথা যাওয়া উচিত নয়'। সিংহাসন পরিত্যাগ করেন এবং ১৪ বছরের জন্য নির্বাসনে যান।
আদর্শ ভাই: রাম একজন আদর্শ ভাই ছিলেন। ভারতের প্রতি রামের কখনও হিংসা বা বিদ্বেষ ছিল না। বরং তিনি সর্বদা ভরতের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রদর্শন করতেন এবং তাঁকে সিংহাসন দখলে অনুপ্রাণিত করতে থাকেন।
আদর্শ স্বামী: রাম আদর্শ স্বামী। রাম ১৪ বছর ধরে বনে বনবাসী হিসাবে বসবাস করেছিলেন। ঋষি-ঋষিদের সেবা করেছেন। রাক্ষসদের হত্যা করেছেন। রাবণ যখন তার স্ত্রী দেবী সীতাকে অপহরণ করেছিলেন, তখন রাম রাবণকে ধ্বংস করেছিলেন।
আদর্শ রাজা: রামও একজন আদর্শ রাজা ছিলেন। একজন রাজার যে আদর্শ তিনি পেশ করেছিলেন তা আজ পর্যন্ত কেউ ভুলতে পারেনি। রাম রাজ্যে কারও কোনো সমস্যা হয়নি। সব মানুষ খুশি হল।
বাবা-মা ও শিক্ষকের নির্দেশে 'কেন' কথাটা তার মাথায় আসেনি। আপনিও ভগবান রামের আদর্শ জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আপনার জীবনকে উন্নত করতে পারেন।