এই দেশে বিয়ের আগে অধিকাংশ পরিবারেই পাত্র-পাত্রী কোষ্ঠী বিচারের খুবই প্রচলিত অথচ গুরুত্বপূর্ণ চল রয়েছে। ঠিকুজি-কোষ্ঠী মিলিয়ে এটা দেখা হয় যে তাঁদের বিয়ে কতটা সফল হবে। এমনকী কোষ্ঠীতে পাত্র-পাত্রীর স্বাস্থ্য কেমন যাবে তা মিলিয়ে দেখা হয়। তবে চিকিৎসকদের মতে, বিয়ের আগে পাত্র ও পাত্রীর কোষ্ঠী মিলিয়ে দেখার চেয়েও জরুরি কাজ হল তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা। অ্যাজেন্ডা আজতকের দ্বিতীয় দিনে দিল, জিগর ও জান সেশনে মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ ডাঃ নরেশ চৌহান ও লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডাঃ এস কে সারিন অংশ নেন।
জিন চার্ট গুরুত্বপূর্ণ
এই সেশনে ডাঃ এস কে সারিন বলেন, ভবিষ্যদ্বাণীমূলক স্বাস্থ্য (আপনার শরীর কতটা স্বাস্থ্যকর এবং ফিট তা খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া) খুবই সহজ এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমি বলব বিয়ের আগে কোষ্ঠী না মিলিয়ে জিন চার্ট মেলান। পাত্র-পাত্রীর জিন পরীক্ষা খুবই প্রয়োজন। তিনি এও বলেন, ২৬ বছরের এক যুবকের জন্য আপনি যদি মেয়ে দেখেন অথবা সেই বয়সের মেয়ের জন্য পাত্র খোঁজেন, তার আগে পাত্রের একটি ছোট রক্ত রীক্ষা করিয়ে নিন, যা লিভারের টেস্ট, যেটাকে ডাক্তারি পরিভাষায় এএলটি লিভার টেস্ট বলা হয়ে থাকে। যদি সেটা দ্বিগুণের বেশি থাকে তাহলে শরীরে সমস্যা রয়েছে এবং তার হার্ট সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি খুব বেশি। যদি পাত্রের মধ্য়ে এটা পেয়ে থাকেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দিন অথবা তাকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য বলুন। পাত্রের চিকিৎসার পরই বিয়ে দিন।
উত্তরাধিকার সূত্রে রোগও পাওয়া যায়
ডাঃ এস কে সরিনের মতে, এছাড়াও যদি দাদু-ঠাকুমার আর মা-বাবার কোলেস্টেরল, ক্যান্সার, ডায়াবিটিসের মতো রোগ থেকে থাকে তাহলে আপনিও এই রোগ উত্তরাধিকার সূত্রে পেতে পারেন এবং তাও ১০-১৫ বছর আগে। আমরা এটাকে ওয়াকিং জিন থিওরি বলে থাকি। ডাঃ এস কে সরিন এও জানান যে সবাই এটাই দেখে যে পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে ছেলে কতটা জমি-সম্পত্তি পেয়েছে কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রে যে রোগও পেয়েছে সে, সেটা কেউ দেখে না। প্রত্যেকের উচিত পরিবারে কী রোগ আছে, তা যাচাই করা। কারণ উত্তরাধিকার সূত্রেও আপনি রোগ পেতে পারেন, আপনার পূর্ব পুরুষদের ছিল ১০-১৫ বছর আগে। আর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সকলের জীবনযাত্রা। যদি ফিট থাকতে চান তাহলে নিজের ডায়েটের ওপর মনযোগ দিন।