এখন যা ব্যস্ততাময় জীবন তাতে জিমে যাওয়ার সময় প্রায় কারোরই নেই বললেই হয়। কিন্তু ওজন যেমন বাড়ছে তেমনি বসে বসে কাজ করার দরুণ ভুঁড়িও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। অপরদিকে, অফিসে এখন লিফট হওয়ার কারণে খুব একটা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করাও হয় না। ফলে শারীরিক কসরৎ একেবারেই নেই বললেই চলে। তবে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার অভ্যাস শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংশপেশির গঠন এবং ভারসাম্য দৃঢ় করতে খুবই কার্যকর। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশির টোনিংয়ে সহায়তা করে এই কসরত।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ঘন ঘন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা (২০ ও ৩৪ তলার মধ্যে প্রত্যেক সপ্তাহে) করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, হৃদযন্ত্র ভাল রাখে এবং বয়সের কারণে শারীরিক যে কষ্টগুলি হয় তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে
জিম বা যোগাসনের বিকল্প হিসাবে ও নিয়মিত শারীরির কসরতের জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা দরকার। এটায় স্বাস্থ্য ভাল থাকে এবং ক্যালোরি কমে।
শরীরের মাংসপেশিগুলি সক্রিয় রাখে
সমতল ভূমিতে দৌড়নো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশিগুলি বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধু মাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে চড়ার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস এবং হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে। মেদমুক্ত পেশির জন্য এটি খুব কার্যকর একটি কসরত।
পা-এর স্বাস্থ্য ভাল রাখে
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের স্থির পেশি, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে থাকে। এই কসরতের ফলে আপনার শরীরিক শক্তির বিকাশ ঘটে। কসরতের শুরুর দিকে পায়ে টান ধরা বা ব্যাথা অনুভূত হলেও পরে নিজেকে তরতাজা লাগবে।
মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়
শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে গুড হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। মনও ভাল থাকে।
মানুন সঠিক নিয়ম
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার সময় আপনার ভঙ্গিমা যেন ঠিক থাকে। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন, সামনের দিকে ঝুঁকে পড়বেন না। শুরুতেই তাড়াহুড়ো নয়। ধীরে ধারে শুরু করুন এবং পরে সময়সীমা বাড়ান।