প্রতি বছরই অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো ঘিরে বেশ হইচই হয়। যদিও এই বছর আরজি কর-কাণ্ডের ঘটনার কারণে জৌলুস কম। মায়ের পুজোতে যতটুকু না করলেই নয় ঠিক ততটাই করা হবে। সুদীপার বাড়ির পুজোতে অন্নভোগ দেওয়া হয় মাকে। নবমীর ভোগে দেওয়া হয় নিরামিষ পাঁঠার মাংস। যেটা সুদীপা চট্টোপাধ্যায় করেন নিজের হাতে। সেই নিরামিষ মাংসের রেসিপি জেনে নিন আর নবমীতে বানিয়ে ফেলতে পারেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ওই নিরামিষ মাংস।
নিরামিষ মাংসের প্রধান ইউএসপি হল ধূপ-ধুনোর গন্ধের জন্য এই মাংসের স্বাদটা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যেটা সারাবছর এই স্বাদ পাওয়া যায় না। যখন ভোগ নিবেদন করা হয় তখন মাকে শাড়ি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। তখন ওই ঘি ও সর্ষের তেলের সঙ্গে ধূপ-ধুনোর কেমিক্যাল রিয়াকশন হয় ভোগে, সেটাতে পুরো খাবারটা স্মোকড হয়ে যায়। সেই ফ্লেভার এমনি আসে না।
উপকরণ
কচি পাঁঠার মাংস
কাঁচা হলুদ বাটা
আদা বাটা
জিরে বাটা
টক দই
গোলমরিচ বাটা
ঘি
চিনি
নুন
গোবিন্দভোগ চাল বাটা
পদ্ধতি
কচি পাঁঠার মাংসে কাঁচা হলুদ বাটা, নুন, সর্ষের তেল ও টক দই মাখিয়ে রেখে দেওয়া হয় ঘণ্টাখানেক। ঘিয়ের মধ্যে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে, গোটা গরম মশলা ফোড়ন দেওয়ার পর আদা বাটা-জিরে বাটা দেওয়া হয়। এটা দেওয়ার পর নাড়াচাড়া করে গোলমরিচ বাটা দিতে হবে। এরপর অল্প একটু চিনি ও ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে দেওয়ার পর কষিয়ে নিতে হবে। এরপর কষতে কষতে যখন তেল ছেড়ে আসবে তখন গরম জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। নামানোর আগে ঘি ও গোবিন্দভোগ চাল বাটা দিয়ে দিতে হবে। এটাই গ্রেভিটাকে অন্য মাত্রা দেবে। ভোগের মাংসে যেহেতু পেঁয়াজ, রসুন কিছুই ব্যবহার করা হয় না, তাই মাংসের গন্ধ দূর করার জন্য সুগন্ধি হিসাবে গোবিন্দভোগ চাল বাটা ব্যবহার করা হয়। এতে মাংসের ঝোলটাও বেশ গাঢ় আর রগরগে হয়।